সংক্ষিপ্ত
ছাত্রী পুলিশকে জানায়, শুক্রবার সে পরিচিত এক ছেলের আমন্ত্রণে স্যান্ডিস কম্পাউন্ডে গিয়েছিল। যুবকটি তাকে অপহরণ করে স্যান্ডিসের সামনে একটি লোকালয়ের একটি ভাড়া ঘরে নিয়ে যায়।
ফের নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন নীতিশ রাজ্যে। বিহারের ভাগলপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে জোগসার থানা এলাকার আদমপুর ঘাট সড়কে এক মেয়ের সঙ্গে গণধর্ষণে জড়িত চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া যুবকদের নাম নবাগাছিয়ার আমন কুমার, বাঁকা জেলার করণ কুমার, আদিত্য কুমার এবং বাঁকার কুন্দন কুমার। নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা করেছে এবং মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও তিন ছেলের যোগ থাকার সম্ভাবনা সামনে এসেছে, সেই তিন যুবককেও খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কেউ একজন এসএসপি আনন্দ কুমারকে নির্যাতিতার সঙ্গে নৃশংসতার কথা জানিয়েছিলেন। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে সিটি ডিএসপির নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়। পুলিশ ওই স্থানে পৌঁছালে ওই তরুণীর সঙ্গে অশালীন কাজ করতে গিয়ে চার যুবককে হাতেনাতে ধরা হয়। ওই ঘর থেকে সন্দেহজনক কিছু জিনিসসহ মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিচিত ছাত্রীকে প্রথমে ধর্ষণ
তার সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী পুলিশকে জানায়, শুক্রবার সে পরিচিত এক ছেলের আমন্ত্রণে স্যান্ডিস কম্পাউন্ডে গিয়েছিল। যুবকটি তাকে অপহরণ করে স্যান্ডিসের সামনে একটি লোকালয়ের একটি ভাড়া ঘরে নিয়ে যায়। তার আরও দুই সঙ্গী আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিল। তিনজন মিলে তাকে বারবার ধর্ষণ করে।
তারপর আরও চারটি ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়
শনিবার সন্ধ্যায় তারা তিনজনই তাকে মাদকাসক্ত করে জোগসার থানা এলাকার আদমপুর ঘাট রোডে নিরঞ্জন যাদবের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাসকারী চার বিএ ছাত্রের কাছে নিয়ে যায় এবং তাকে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর ওই চারজন তাকে পালাক্রমে দুই দিন ধরে গণধর্ষণ করে। রবিবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশ ওই চার যুবককে আটক করে এবং ছাত্রীকে তার কবল থেকে মুক্ত করে। এসএসপির নির্দেশে সিটি ডিএসপি গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্ত ও পলাতক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠায়। ধৃত চারজনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে
মামলায় সিটি ডিএসপি অজয় কুমার চৌধুরী বলেন, নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নাবালিকাকে উদ্ধার করে থানায় ডাকা হয়েছে তার পরিবারকে। নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতিতার বক্তব্যের ভিত্তিতে মামলা দায়েরের পর পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।