সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার পরিবহনমন্ত্রী নিজেই টুইট করে জানালেন আপাত গাড়িতে ছয়টি এয়ার ব্যাগ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবকে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এই নিয়মের বাস্তবায়ন হতে আরও এক বছর সময় লাগবে। 

যাত্রীবাহী গাড়িতে ছয়টি এয়ারব্যাগ এখনই বাধ্যতামূলক নয়। জানালেন খোদ সড়ক, পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি। যাত্রীদের সুরক্ষা ও দুর্ঘটনার পরমাণ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকেই এই নিয়ম কার্যকরী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার পরিবহনমন্ত্রী নিজেই টুইট করে জানালেন আপাত গাড়িতে ছয়টি এয়ার ব্যাগ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবকে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এই নিয়মের বাস্তবায়ন হতে আরও এক বছর সময় লাগবে। 

যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং সড়ক দুর্ঘটনার হার কমাতে আট সিটের গাড়িতে ছয়টি এয়ারব্যাগ বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। ২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকেই এই নিয়ম জারি করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঠিক দু'দিন আগে ২৯ সেপ্টেম্বর টুইট করে সড়ক, পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানান এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে আরও একবছর সময় লাগবে। অর্থাৎ ১ অক্টোবর ২০২২-এর বদলে ১ অক্টোবর ২০২৩ থেকে বাধ্যতামূলক করা হবে এই নিয়ম। এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে আচমকা এই নিয়ম ধার্জ করলে গোটা অর্থনীতিতে তাঁর যে বিরূপ প্রভাব পড়বে সেই কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। 

 

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রনালয়, ১৪ জানুয়ারি ২০২২-এ একটি খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল যে ১ অক্টোবর ২০২২-এর পরে তৈরি করা M1 ক্যাটাগরির যানবাহনগুলিতে মোট ছয় টি করে এয়ারব্যাগ লাগাতে হবে। এই  M1 ক্যাটাগরি যানবাহনগুলির মধ্যে আটটির বেশি আসন নেই। প্রত্যেক যাত্রীর জন্য তাই একটি করে এয়ারব্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
বিজনেস টাইকুন এবং টাটা সন্সের প্রাক্তন সিইও সাইরাস মিস্ত্রি ৪ সেপ্টেম্বর মুম্বাই যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পরে সড়ক নিরাপত্তায় আরও জোড় দেওয়া হচ্ছে। এর আগে চালকের পেছনের সিটে বসা ব্যাক্তির ক্ষেত্রে সিট বেল্ট পড়া আবশ্যক। এমনটাই জানাছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক, পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকরি। পেছনের সিটে বসা ব্যাক্তি সিট বেল্ট না পড়লে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। 

গডকরি আরও বলেছিলেন যে ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক ১৮-৩৪ বছর বয়সী। "সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করা একমাত্র ক্ষেত্র যেখানে আমি গত ৮ বছরে সাফল্য পাইনি," বলেছেন গড়করি৷