সংক্ষিপ্ত

পুরোহিতের চোখ বেঁধে হাতে দস্তানা পরানো হয়, বিচ্ছিন্ন থাকে গোটা শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ! আজও রহস্যময় পুরীর মন্দির

পুরী নিয়ে মানুষের উৎসাহের শেষ নেই। দেশ-দেশান্তর থেকে মানুষ পুরীর মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। কিন্তু এই মন্দির নিয়ে রয়েছে বহু অজানা গল্প। আসুন জেনে নেওয়া যাক কতটা রহস্যময় পুরীর মন্দির-

১) লোকমুখে প্রলিত রয়েছে যে শ্রীকৃষ্ণ দ্বারকায় দেহত্যাগের পরে পুরীতে জগন্নাথ রূপ নিয়ে এসে বসবাস করতে শুরু করেন।

২) ভারতের চার প্রান্তে শ্রী বিষ্ণুর চারটি ধাম রয়েছে দ্বারকা, রামেশ্বরম ও বদ্রীনাথ ও পুরী। এর মধ্যে অন্যতম একটি জায়গা হল পুরী। দেশ বিদেশ থেকে মানুষে এসে এই ধামে ভিড় করে।

৩) বলা হয় এই মন্দিরে কোনও কিছু প্রার্থনা করলে তা অবশ্যই পূরণ হয়। আজও এই মন্দিরে এমন কিছু ঘটনা সম্পর্কে শোনা যায় যার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

৪) প্রায় ৪৫ তলা উঁচু বাড়ির সমান এই মন্দির। এর তূড়ায় রয়েছে একটি বিশাল পতাকা। অদ্ভুত বিষয় হল এই পতাকা বা ধ্বজাটি হাওয়ার বিপরীতে ওড়ে।

৫) প্রায় ৪ লক্ষ বর্গফুটের এই মন্দিরের চুড়ার কোনও ছায়া দেখতে পাওয়া যায় না।

৬) এই মন্দিরের চূড়ায় কখনও কোনও পাখি বসতে দেখা যায় না । শুধু তাই নয় চূড়ার উপর দিয়ে আজ পর্যন্ত কোনও পাখি উড়তে দেখা যায়নি।

৭) প্রতি ৮, ১২ ও ১৯ বছর পর মন্দিরের বিগ্রহ বদল করা হয়। এদিন জগন্নাথ মন্দিরের প্রবীণ পুরোহিতের চোখ বেঁধে হাতে দস্তানা পরিয়ে বিগ্রহ বদল করতে হয়। সেই সময় গোটা শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা থাকে। এবং মন্দিরের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনি মোতায়েন করা থাকে।