- Home
- India News
- Weather Alert: দেশ জুড়ে গরম বাড়ার আসল কারণ 'এর প্রভাব'! এই কারণেই কমছে বৃষ্টিপাত, কতদিন থাকবে এই পরিস্থিতি?
Weather Alert: দেশ জুড়ে গরম বাড়ার আসল কারণ 'এর প্রভাব'! এই কারণেই কমছে বৃষ্টিপাত, কতদিন থাকবে এই পরিস্থিতি?
কেন দিনের পর দিন ধরে এত গরম পড়ছে জানেন? যতদিন যাচ্ছে পারদ আরও চড়ছে। এর পিছনে রয়েছে আরও অনেক বড় রহস্য।

কেন দিনের পর দিন ধরে এত গরম পড়ছে জানেন? যতদিন যাচ্ছে পারদ আরও চড়ছে। এর পিছনে রয়েছে আরও অনেক বড় রহস্য।
বিশ্বজুড়ে গরম বাড়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল 'এল নিনো'। এর প্রভাবেই এত গরম বাড়ছে দিনের পর দিন। কিন্তু কেন এত বাড়ছে গরম জানেন?
এই 'এল নিনো'র প্রভাবেই বিশ্বজুড়ে বাড়ছে গরম। আসলে এর প্রভাবে কমে যেতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ, বাড়তে পারে গরম।
দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা যায় এল নিনো। কিন্তু ভারতে কেন পড়ছে এর এত প্রভাব?
১৬ শতক নাগাদ দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে একদল জেলেকে মাছ ধরে দেখা যায়। এই সময় তাঁরা খেয়াল করেন যে সমুদ্রের জল স্বাভাবিকের তুলনায় উষ্ণ। কিন্তু এই সময়টা জল এতটা উষ্ণ হওয়ার কথা ছিল না।
এই তুলনামূলক ভাবে উষ্ণ পরিস্থিতির তাঁরা নাম দিলেন 'এল নিনো দে নাভিদাদ।' নাভিদাদ শব্দের অর্থ হল ক্রিসমাস। অর্থাৎ মূলত ডিসেম্বরে ক্রিসমাসের সময়তেই উষ্ণতা অনেক বেশি।
এলনিনো কথার অর্থ হল দুষ্টু ছলে। এটিও একটি স্প্যানিশ শব্দ। তবে শুধু ডিসেম্বরেই নয়, এপ্রিল-মে নাগাদও এই একই পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।
এল নিনো হল প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ সমুদ্রস্রোত। এই স্রোতের ফলেই দক্ষিণ গোলার্ধের আবহাওয়া বদলে যায়।
এই স্রোত সাধারণত পেরু থেকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে বয়ে যায়। কিন্তু এল নিনো-র প্রভাবে হয় বায়ু প্রবাহ কমে যায়, থেমে যায় অথবা উল্টে যায় এর দিক।
এই উল্ট বায়ু প্রবাহের কারণেই অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার—এই পুরো অঞ্চলটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। কারণ, বাতাসের প্রবাহ সমুদ্রস্রোতকে বয়ে নিতে থাকে পশ্চিম দিকে।
এর প্রভাবেই বাড়ে পশ্চিমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ভারতীয় অঞ্চল সহ আশপাশের সমস্ত অঞ্চলে বাড়ে তাপমাত্রা। এমনকী খরাও দেখা দেয়।
কিন্তু কেন এল নিনো হয়, তার সঠিক কারণ এখনও বুঝতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। তবে প্রতি ৪ থেকে ৭ বছর পর পর এমন পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়।

