সংক্ষিপ্ত
মন্দির নির্মাণের পুরো কাজ শেষ হবে ২০২৪ লেগে যাবে আগেও জানিয়েছিল ট্রাস্ট। এখনও তারা তেমনই জানিয়ে রেখেছেন। রাম মন্দিরের রাম-সীতার মূর্তি তৈরি হচ্ছে ৬ কোটি বছরের পুরনো শালগ্রাম শিলা দিয়ে।
রাম মন্দির নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে এশিয়ানেট নিউজের দ্বিতীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর জন্য তৈরি হয়েছে দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র। যেখানে রাম মন্দির নির্মাণের শুরুর সময় থকে বর্তমানে কোনস্থানে রয়েছে নির্মাণ কাজ- তার পুরো তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা ঠিক তাতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই রাম মন্দিরের গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হবে ভক্তদের জন্য। যার ফলে বহু প্রতিক্ষীত রামলালা-র দর্শনের সুযোগ পাবেন ভক্তরা। এর জন্য অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণস্থলে জোরকদমে কাজ চলছে।
তবে, মন্দির নির্মাণের পুরো কাজ শেষ হবে ২০২৪ লেগে যাবে আগেও জানিয়েছিল ট্রাস্ট। এখনও তারা তেমনই জানিয়ে রেখেছেন। রাম মন্দিরের রাম-সীতার মূর্তি তৈরি হচ্ছে ৬ কোটি বছরের পুরনো শালগ্রাম শিলা দিয়ে। নেপালের কালী গণ্ডকী নদী থেকে এই শালগ্রাম শিলা কয়েক মাস আগেই অযোধ্যায় পৌঁছেছে। ২.৭-এক জমির উপরে রাম মন্দিরের আয়তন দাঁড়াবে ৫৭ হাজার ৪০০ স্কোয়ার ফিটের।
অযোধ্যার রাম মন্দির তিনটি ধাপে নির্মাণ তরা হচ্ছে। ভক্তরা প্রথম ধাপ তৈরি হওয়ার পরেই মন্দিরে প্রবেশের ছাড়পত্র পাবে। মন্দির কমিটি অবশ্য জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মকর সংক্রান্তির সময় ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে অন্যান্য কাজের সঙ্গে নিচুতলার পাঁচটি মণ্ডপ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে। প্রথম পর্যায়ে নিচুতলার পাঁচটি মণ্ডপ, যারমধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল গর্ভগৃহ - সেখানে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে। পাঁচটি মণ্ডপে প্রায় ১৬০টি স্তম্ভ রয়েছে।
মন্দিরের নিচের স্তরে ভগবান শ্রীরামের একটি বিবরণ থাকবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ-এর সরঞ্জাম থাকবে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিও থাকবে। পেরকোটা বা বাইরের ঘর- সহ মন্দিরের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে সম্পন্ন করা হবে। প্রতিমা স্থাপন করা হবে। ভক্তরা এ বছর শেষ নাগাদ দর্শন করতে পারবে।
কমিটির প্রধান জানিয়েছেন পুরো মন্দির নির্মাণের কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। মন্দির নিমাণের খরচ মোট হবে ১৪০০-১৮০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই জানিয়েছেন, মন্দির আগামী বছর ১ জানুয়ারির মধ্যে রামলালার ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সূত্রের খবর আগামী বছর জানুয়ারির মধ্যেই শেষ হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মরক সংক্রান্তির দিনে মন্দির ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মকর সংক্রান্তি পড়েছে ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি। তারই মধ্যেই মন্দির খুলে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিজেপি বা সংঘের ইচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মন্দির ভক্তগের জন্য খুলে দেওয়ার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতেই মন্দির উদ্বোধনের পরিকল্পনাও রয়েছে ট্রাস্টের। শ্রীরাম জন্মভূমি ট্রাস্ট সূত্রের খবর আযোধ্যার মূল রাম মন্দির ঘিরে থাকলে সূর্য, গণেশ, দুর্গা, বিষ্ণু ও ব্রহ্মার মন্দির। মূল মন্দির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরেই সেগুলির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।