বিচারপতি বিভি নাগারত্না, সুপ্রিম কোর্টের পাঁস সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের তিনি একমাত্র সদস্য যিনি নোটবাতিল নিয়ে সহমত পোষণ করেননি। তিনি একমাত্র ভিন্ন মত দিয়েছেন। বলেছেন, ৫০০ ও ১ হাজার টাকার পুরো সিরিজ একটি আইনের মাধ্যমে বাতিল করা উচিৎ ছিল। গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- তাই সংসদকে দূরে রাখা ঠিক হয়নি।
- Home
- India News
- SC On Note Ban: Live: '২০১৬ সালের নোটবন্দি-র সিদ্ধান্তকে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার সম্ভব নয়'
SC On Note Ban: Live: '২০১৬ সালের নোটবন্দি-র সিদ্ধান্তকে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার সম্ভব নয়'
২০১৬ সালের নোটবন্দি-র সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেছিলেন ৫৮ জন। সেই জনস্বার্থ মামলায় আজ রায় দিল সুপ্রিমকোর্ট। সাফ জানিয়েছে কোনওভাবেই ওই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। এর ফলে নোটবন্দিটর সিদ্ধান্ত বহাল থাকল। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
- FB
- TW
- Linkdin
চিদাম্বরম সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায় দেওয়ার পরেই বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় এই প্রশ্নটি পরিষ্কার করেছে যে নোটবন্দি অনুশীলনের উদ্দেশ্যগুলি আদৌ অর্জিত হয়েছিল কিনা? 'সংখ্যালঘু' রায়টি নোটবাতিল 'অবৈধ' এবং 'অনিয়ম' হয়েছে বলে দাবি করেছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনটি ঘোষণা করলে, তা মানতে সকলেই বাধ্য। যাইহোক, এটি উল্লেখ করা প্রয়োজন যে সংখ্যাগরিষ্ঠরা সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাকে সমর্থন করেনি, বা সংখ্যাগরিষ্ঠরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি যে বিবৃত উদ্দেশ্যগুলি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত জানিয়েছিলেন চিদাম্বরম।
ভারতীয় বাজারে এখনও নগদ টাকাই রাজ করছে। ২০১৬ সালে প্রচলিত মুদ্রায় ৮৬ শতাংশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় বাজারে নগদের প্রচলণ ৩২.৪২ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর অর্থাৎ নোটবন্দির আগে ভারতীয় বাজারে নগদের প্রচলণ ছিল ১৭.৭১ লক্ষ টাকা।
বিজেপি সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সরকারের নোটবন্দীকরণের অনুশীলনকে "ঐতিহাসিক" বলে স্বাগত জানিয়েছে এবং এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য কংগ্রেসকে নিন্দা করেছে এবং জিজ্ঞাসা করেছে যে তার নেতা রাহুল গান্ধী রায়ের পরে ক্ষমা চাইবেন কিনা। সর্বোচ্চ আদাসতে ৪:১ সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে যে মামলা দায়ের হয়েছে তা খারিজ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে।
বিচারপতি বি ভি নাগারথনা বলছেন ২০১৬ সালে ৫০০ ও ১ হাজার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হওয়া উচিৎ ছিল। কোনও গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে নয়। সুপ্রিম কোর্টের নোটবন্দি মামলা নিয়ে যে সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি হয়েছিল তার কনিষ্ঠতম বিচারপতি তিনি।বলেছেন কেন্দ্রের উদাহরণে নোটের একটি সম্পূর্ণ সিরিজের বিমুদ্রাকরণ একটি আরও গুরুতর সমস্যা যার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। অর্থনীতি এবং দেশের নাগরিকদের উপর।
২০১৬ সালের নোটবন্দি নিয়ে সিদ্ধান্তকে শিলমোহর দিতে এবং ৫৮ জন আবেদনকারীর জনস্বার্থ মামলা-কে খারিজ করতে নিজেদের মধ্যে ভোটাভুটি করেন ৫ বিচারপতি, শেষমেশ ৪-১ ভোটে নোটবন্দি -র সিদ্ধন্তকে বৈধতা দেন ৫ বিচারপতি।
বিচারপতি বিভি নাগারথানা এবং বিচারপতি বিআর গাভিল রায়ের একটি জায়গায় মতানৈক্যে পৌঁছতে পারেননি, নাগারথানার ব্যাখ্যাকে মান্যতা দিতে চাননি বিচারপতি গাভিল, তিনি বলেন আরবিআই অ্যাক্টের আন্ডার সেকশনের ২৬(২)-এ কেন্দ্রের ক্ষমতা নিয়ে নাগারথানা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে তিনি মত দিতে পারছেন না।
নোটবন্দি নিয়ে রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ মন্তব্য করে যে, এই সিদ্ধান্তকে কোনওভাবেই সংবিধান বহির্ভূত বা বেআইনি বলে দাবি করা যায় না, কারণ, নোটবন্দি প্রয়োগে কোথাও সংবিধান লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলেনি এবং বিষয়টি যে বেআইনি তাও বলা যায় না।
বিচারপতি বিআর গভাই নোটবন্দির রায়ে এই টিপ্পনি দেন যে, এই সিদ্ধান্তকে কোনওভাবেই ভুল বা ফাঁক বলে মন্তব্য করা যায় না, কারণ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে ৬ মাস আগে থেকে আলোচনা করছিল।
এদিন নোটবন্দি নিয়ে রায় শোনাতে গিয়ে ৫ সদস্যের সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চ জানায় যে আরবিআই ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে ৬ মাস আগে থেকে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং পরিস্থিতি মোকাবিলার একটা রূপরেখাও তৈরি হয়েছিল।
নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কোনও ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি, কারণ যে ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তাতে কোনও ফাঁক ছিল না। নোটবন্দির বিরোধিতায় দায়ের হওয়া মামলায় এমনই মন্তব্য করেছে সুপ্রিমকোর্ট।
আজ সুপ্রিমকোর্টে শুনানি শুরু হয় বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ, ৫ বিচারপতি বেঞ্চ মিনিট ২০ ধরে তাঁদের মন্তব্য পেশ করার পর জানিয়ে দেন ৫৮ জন আবেদনকারীর করা জনস্বার্থ মামলাকে খারিজ করা হচ্ছে, কারণ ২০১৬ সালে যে নোটবন্দি-র সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা এই মুহূর্তে প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়।