সংক্ষিপ্ত

গ্যালাক্সি প্লাজার আগুন মনে পড়িয়ে দিল অসহায় মানুষের প্রাণ বাঁচানোর আর্তিকে। বৃহস্পতিবার এই গ্যালাক্সি প্লাজায় আগুন লাগে। গ্যালাক্সি প্লাজায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভেতরে আটকা পড়েন বহু মানুষ।

এক লহমায় ফিরল কলকাতার স্টিফেন কোর্টের ভয়ঙ্কর আগুনের স্মৃতি। গ্রেটার নয়ডার বিসরাখ কোতোয়ালি এলাকায় অবস্থিত গ্যালাক্সি প্লাজার আগুন মনে পড়িয়ে দিল অসহায় মানুষের প্রাণ বাঁচানোর আর্তিকে। বৃহস্পতিবার এই গ্যালাক্সি প্লাজায় আগুন লাগে। গ্যালাক্সি প্লাজায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভেতরে আটকা পড়েন বহু মানুষ। বিল্ডিংটিতে আগুন লাগার পর প্রাণ বাঁচাতে উঁচু তলা থেকে লাফ দেন বেশ কয়েকজন।

একই সঙ্গে প্লাজায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ৩টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, দুই শিশুসহ আরও কয়েকজন ভেতরে আটকা পড়েছিল বলে খবর মেলে। ফায়ার সার্ভিসের টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে গোটা ভবন ঢেকে ছিল কালো ধোঁয়ায়। ফলে উদ্ধারকার্যে অসুবিধা হয়। ভাঙা হয় জানলার কাঁচ।

নয়ডার কারখানায় আগুনে একজনের মৃত্যু, চারজন আহত

এর আগে নয়ডায় একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গিয়েছিল, যাতে একজন মারা যায় এবং চারজন গুরুতর আহত হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে এফ ব্লকের ৬৩ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। চিফ ফায়ার অফিসার প্রদীপ কুমার চৌবে জানান, খবর পেয়ে দমকলের এক ডজন গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয়। কারখানার শ্রমিক আব্দুল রেহমান, মুকেশ ও শম্ভু পাসওয়ান গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উল্লেখ্য, স্টিফেন কোর্ট অগ্নিকাণ্ড- ২০১০ সালের ২৩ মার্চ। সোমবার। দুপুর তখন প্রায় আড়াইটে৷ শহরের প্রাণকেন্দ্র পার্ক স্টিটের স্টিফেন কোর্ট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷ প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই পালিয়ে যায়, কেউবা আবার প্রাণে বাঁচতে ঝাঁপ মারছে জ্বলতে থাকা বাড়ির উপর থেকে৷ ছাদের দরজা তালা বন্ধ হওয়ায় বহু মানুষ আটকে পড়েন৷ মৃত্যু হয় ১১ জনের৷ সব মিলিয়ে স্টিফেন কোর্টে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় ৪৩জন। পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী ওই বাড়ির উপরের অংশের আইনি বৈধতা ছিল না৷ মহানগরের এই ঘটনা স্থান পেয়েছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও।

২০১০ সালের ২৩ মার্চ বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল স্টিফেন কোর্ট বিল্ডিংয়ের একটা বড় অংশ। মৃত্যু হয়েছিল ৪৩ জনের। সে ঘটনার ৪ বছর বাদে, ২০১৪-য় স্টিফেন কোর্ট কর্তৃপক্ষকে আগুন মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল দমকল। অগ্নিবিধি মানতেই হবে বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল দমকলের তরফে। অগ্নি নির্বাপকের পাশাপাশি প্রত্যেক তলে আপতকালীন সিঁড়ি রাখাও বাধ্যতামূলক বলে তারা জানায়।