সংক্ষিপ্ত

আপ নেত্রী অতীশি বলেছেন, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি ৩০ বছর ধরে ডায়াবেটিশের রোগী। কিন্তু তাঁকেই তিহার জেল ইনসুলিন দিতে অস্বীকার করছেন।

 

জেলের মধ্য়েই খুন করা হতে পারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। বড় দাবি করেছে তাঁর দল আম আদমি পার্টির নেতা ও কর্মীরা। দলের নেত্রী অতীশি বলেছেন, তিহার জেলে বন্দি থাকাকালীন অবস্থাতেই অরবিন্দ কেজরিওএয়ালকে হত্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। AAP এর অভিযোগ গত কয়েক দিন ধরেই কেজরিওয়ালের রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠা নামা করছে। তাঁরা আরও বলেছেন, তিহার জেলে কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না। যদিও কেজরিওয়াল ইনসুলিন নিতে চেয়েছেন।

এদিনই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের খাওয়া দাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সওয়াল জবাব হয় দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে। কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা একজন চিকিৎসকের সঙ্গে যাতে তিনি নিয়মিত ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন তার আবেদন জানিয়েছিল। পাল্টা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল জামিনের পথ তৈরি করছেন কেজরিওয়াল। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, একজন ডায়েবেটিক পেশেন্ট কি করে নিয়মিত আম আর মিষ্টি খেতে পারে। যদিও কেজরির আইনজীবীরা বলেছিলেন চিকিৎসকের পরামর্শেই খাবার খাচ্ছেন তিনি।

BJP: ভোট বড় বালাই! প্রচারে বেরিয়ে ভোটারকে স্নান করালেন সুভাস সরকার, পাল্টা তোপ তৃণমূলের

এই ঘটনার পরই আপ নেত্রী অতীশি বলেছেন, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি ৩০ বছর ধরে ডায়াবেটিশের রোগী। কিন্তু তাঁকেই তিহার জেল ইনসুলিন দিতে অস্বীকার করছেন। তাঁর প্রশ্ন এটা হত্যার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কী হতে পারে। অতীশি আরও বলেছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সেই ব্যক্তি যাঁকে বিজেপি নির্বাচনে হারাতে পারে না। আর সেই কারণেই জেলে আটকে রেখে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন। আপ নেত্রী আরও বলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রতিদিন ৫৪ ইউনিটের ইনসুলিন নেন। কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না।

ভোটের মুখে মোদীর তীব্র সমালোচনা রণবীর সিং-এর মুখে! ভিডিওতে দেখুন ডিপফেট প্রযুক্তির কারসাজি

অতীশি আরও বলেন, আদালত কেজরিওয়ালকে নিয়মিত বাড়ির খাবার খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তার একটাই কারণ তাঁর খাবারে যাতে চিনির মাত্রা সঠিক থাকে। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির সহযোগী সংস্থা ইডির মাধ্যমে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে চাইছে। আদালতে ইডির অভিযোগের পরই আপ জানিয়েছে, কেজরিওয়াল তাঁর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ানোর পর নিয়মিত আম, লুচি আলুরদম আর মিষ্টি খাচ্ছেন। আম আদমি পার্টির অভিযোগ ইডি বারবার আদালতকে মিথ্যা কথা বলেছেন। অতীশি আরও বলেছেন, ডায়াবেটিক রোগীদের জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য কলা , লজেন্স বা চকোলেট সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে দ্রুত সেগুলি খেতে হয়। তাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। আম আদমি পার্টির অভিযোগ বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন আর প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না।

TMC Vs TMC: তবে কি শেষ হল তৃণমূলের 'তাজা নেতা'র জমানা? আরাবুলের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত দলের