সংক্ষিপ্ত

থানাতেও নেই নিরাপত্তা! সেনা অফিসার ও তাঁর প্রেমিকার উপর হামলা, ৫ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল ওড়িশা পুলিশ

ভারতীয় সেনা অফিসার ও তাঁর বাগদত্তাকে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগে ভরতপুর থানার ইনস্পেক্টর-ইন-চার্জ (আইআইসি) সহ পাঁচ অফিসারকে সাসপেন্ড করল ওড়িশা পুলিশ।

ওড়িশা পুলিশ এক বিবৃতিতে আইআইসি দীনকৃষ্ণা মিশ্র, সাব-ইন্সপেক্টর বৈশালিনী পান্ডা, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর সলিলাময়ী সাহু ও সাগরিকা রথ এবং কনস্টেবল বলরাম হান্ডাকে সাসপেন্ড করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সাসপেনশন চলাকালীন অফিসাররা ভুবনেশ্বর-কটকের পুলিশ কমিশনারের শৃঙ্খলাবদ্ধ নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং ওড়িশা সার্ভিস কোডের ৯০ বিধি অনুসারে ভরণপোষণ ও মহার্ঘ ভাতা পাবেন।"

অবশ্য সাসপেনশনের আগে নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে পুলিশ আইআইসি মিশ্র এবং আরও দুই কর্মকর্তাকে ভরতপুর থানা থেকে বদলিও করেছিল। মিশ্রকে ভুবনেশ্বরে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের অফিসে এবং এএসআই সাহু এবং কনস্টেবল হান্ডাকে যথাক্রমে ডিসিপি অফিস এবং রিজার্ভ অফিসে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরপরেই এই ৬ অফিসারকে সাসপন্ড করল ওড়িশা পুলিশ।

রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ওয়াই বি খুরানিয়ার নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

ঠিক কী হয়েছিল সেইদিন?

জানা গিয়েছে কিছুদিন আগে ভরতপুর থানায় এক সেনা অফিসার এবং তাঁর বাগদত্তা আহত অবস্থায় অভিযোগ করতে আসেন। তাঁরা জানান, রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎই তাঁদের উপরে চড়াও হন কিছু ব্যক্তি এবং তাঁদের মারধরও করা হয়। এই অভিযোগ দায়ের করতে এসেই বিপত্তি বাধে।

এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ, ওই সেনা অফিসারকে আটক করা হয় এবং তার বাগদত্তার শ্লীলতাহানীও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও, ওই অভিযুক্ত আইআইসি নির্যাতিতাকে মহিলাকে মারধরেরও হুমকি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।