সংক্ষিপ্ত

দীপাবলির কয়েক দিন আগে উৎসবের মরশুমে শুরু হয়েগেছে প্রায় গোটা দেশেই। এই অবস্থায় দেশের মানুষকে সতর্ক করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন কোভিডের গ্রাফ অনেকটা ডুবন্ত জাহাজের মত।

ভারতের হয়তো দ্বিতীয় তরঙ্গের মত ভয়াবহ রূপ নেবে না করোনাভাইরাস (Coronavirus)। কিন্তু এখনও সাবধান হওয়া জরুরি। গোটা দেশেই এখনও কোভিড ১৯ (Covid 19) এর সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। দূর্গাপুজোর পর আসন্ন দীপাবলির উৎসবের (Diwali) আগে আরও একবার দেশের মানুষকে সতর্ক করবেন বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা। তাঁদের কথায় সংক্রমণ থেকে এখনও নিস্তার পাওয়া যায়নি। একটু অসাবধান হলেই এটি ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। দীপাবলির কয়েক দিন আগে উৎসবের মরশুমে শুরু হয়েগেছে প্রায় গোটা দেশেই। এই অবস্থায় দেশের মানুষকে সতর্ক করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন কোভিডের গ্রাফ অনেকটা ডুবন্ত জাহাজের মত। এই দেশের মৃত্যুর হার বেশি। তবে দ্রুত টিকার দেওয়ার কারণে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। কিন্তু ব্রিটেনের মত অনেক দেশ রয়েছে যেখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়ছে। 

ভারত ১০০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিনের মাইলফলকে পৌঁছানোর একদিন পরেই ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিল বলেছেন যে টিকা দেওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। কিন্তু আরও বেশি পরিমাণে টিকা দেওয়ার দরকার ছিল। তিনি আরও বলেন, তিনি এখনও নিশ্চিত যে দেশে মহামারির পরিস্থিতি এখনও রয়েছে। দেশে ১০০ কোটি টিকা দেওয়ার হলেও এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে দেরি রয়েছে। তবে দেশ এন্ডোমিসিটির দিকে যাচ্ছে। গত তিন মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যন নিয়েও তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি আরও কিছু দিন দেশের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। 

TMC: ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল সাংসদ, বিল্পব দেবকে কটাক্ষ সুস্মিতা দেবের

Defence News: চিনা হুমকি মোকাবিলায় কঠোর ভারত, অসমে মোতায়েন 'পিনাকা'

মোদীর 5F লক্ষ্যে পৌঁছাতে উদ্যোগ, বস্ত্রশিল্পের উন্নয়নে তৈরি হচ্ছে ৭টি PM MITRA পার্ক

হরিয়ানার অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিডিটিং প্রফেসর জামিল আরও বলেছেন দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১.২ শতাংশেই স্থিতিশীল রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে ভ্যাকসিন কভারেজ আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।তিনি আরও বলেছেন দেশের কিছু অংশ মহামারি শেষ হয়েছে এটা দাবি করার জন্য এখনও পর্যন্ত উপযুক্ত তথ্য হাতে নেই। ভারতের কোভিড গ্রাপ বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন ব্রিটেনের মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গণিতের সিনিয়র লেকটারার মুরাদ বানাজি। তিনি পিটিআইকে বলেছেন, এখনও তাঁর হাতে স্পষ্ট তথ্য নেই টিকা পাওয়া ও সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে কতজন নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছে। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও কয়েক বছর সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওয়াশিংটনে সেন্টার ফর ডিজিসের লক্ষ্মীনারায়ণ জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের গতিবিধি নির্ধারণের জন্য আরও দুমাস অপেক্ষা করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের কথায় আগামী কয়েকটা  মাসের মধ্যে যদি সংক্রমণ তেমন বৃদ্ধি না পায় তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। তবে করোনার নতুন রূপগুলি নতুন করে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।   

 

YouTube video player