শ্রীনগরের নওগাম পুলিশ স্টেশনে বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ৩ জন মারা যান। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। থানার ভেতরে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। থানাটি আন্তঃরাজ্য সন্ত্রাসবাদী মডিউল মামলার সঙ্গে যুক্ত, তাই বিস্ফোরণটিকে প্রমাণ লোপাটের ষড়যন্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রীনগর/নয়াদিল্লি। জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে নওগাম পুলিশ স্টেশনের ভেতরে বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১১:৪৫ মিনিটে একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং ৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। আহতদের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯২ বেস হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (SKIMS)-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নওগামে পৌঁছেছেন এবং এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পুলিশ স্টেশনের ভেতরে ও আশেপাশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিছু মানুষের মৃত্যুরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সন্ত্রাসী মডিউলের তদন্তের দিক থেকে নওগাম থানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
জানিয়ে রাখি, কাশ্মীরের নওগাম পুলিশ থানা এই কারণেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই থানাতেই আন্তঃরাজ্য সন্ত্রাসবাদী মডিউল মামলার প্রথম এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, যার তদন্ত এখনও চলছে। এমন পরিস্থিতিতে, থানায় এই বিস্ফোরণকে তদন্ত-সম্পর্কিত প্রমাণ নষ্ট করা এবং প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। আপাতত, পুলিশ থানার আশপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং উদ্ধারকাজ চলছে।
বিস্ফোরক থেকে নমুনা সংগ্রহের সময় বিস্ফোরণ ঘটে
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিস্ফোরণটি সেই সময় ঘটে যখন পুলিশ কর্মকর্তা এবং একটি এফএসএল দল চত্বরের ভেতরে পরিদর্শন করছিল। আসলে, কর্মকর্তারা সম্প্রতি হরিয়ানার ফরিদাবাদে 'হোয়াইট-কলার' সন্ত্রাসী মডিউল মামলায় বাজেয়াপ্ত করা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের একটি বড় ভান্ডার থেকে নমুনা সংগ্রহ করছিলেন। চত্বরে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার পরপরই বেশ কয়েকটি দমকলের গাড়ি পুলিশ স্টেশনে পৌঁছায়। পুলিশ স্টেশনের দিকে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নওগাম থানাই জইশ-ই-মহম্মদের পোস্টার কাণ্ড ফাঁস করে
জানিয়ে রাখি, নওগাম পুলিশ স্টেশনই এলাকার বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের পোস্টার লাগানোর বিষয়টি ফাঁস করেছিল। এই পোস্টারগুলো সেই সন্ত্রাসী মডিউলের পর্দাফাঁস করে, যেখানে কট্টরপন্থী ডাক্তাররা জড়িত ছিল। এই আবিষ্কারের পর বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয় এবং বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।


