সংক্ষিপ্ত

  • পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের
  •  লোধি রোড মহাশ্মশানে গান স্যালুটে শেষ বিদায় 
  • তার  আগে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে স্মৃতিচারণা
  • মনোগ্রাহী পোস্ট করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দিল্লিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের।  লোধি রোড মহাশ্মশানে গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হয় দেশের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতিকে। প্রণব মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে অনেক স্মৃতি জমে রয়েছে ডান-বাম সব রাজনৈতিক মহলেই। দেলর উর্দ্ধে উঠে বিরোধী শিবিরের কাছেও কম জনপ্রিয় ছিলেন না সংসদীয় রাজনীতির এই কিংবদন্তী চরিত্রটি।  প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় এক  মনোগ্রাহী পোস্ট করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে।

নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তাতে  দেখা যাচ্ছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি একটি ফুটবলে শট মারছেন। আর পাশে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন বিজেপি নেত্রী। কয়েক বছর আগে আয়োজিত একটি ইভেন্টের ছবি সেটি।

 

View post on Instagram
 

 

কেন্দ্রীয়া নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী জানান, বিরোধী দলের সদস্য হলেও প্রণব মুখোপাধ্যায় তাঁকে  সস্নেহে বাঙালি উচ্চারণে ডাকতেন।  ভারতরত্নের ইলিশ-প্রীতির কথাও তুলে ধরেছেন স্মৃতি। বরাবরই খাদ্যরসিক হিসাবে পরিচিত ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ভাল বাসতেন ভাত আর মাছের ঝোল খেতে। স্মৃতি ইরানি লিখেছেন, 'অ্যাই স্মৃতি ইলিশ এসেছে...তিনি সবসময় আমায় বাঙালি নামে ডাকতেন। আর ইলিশের মরসুম এলে উত্তেজিত হয়ে আমায় বলতেন, যাতে আমি তাঁকে একদিন খাওয়াই।' 

এর আগে, ট্যুইটারে স্মৃতি লিখেছিলেন, 'শিক্ষা দফতরে কাজ করার সময় তাঁর পরামর্শ নিয়ে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নয়, তাঁর প্রয়াণে দাদাকে হারানোয় আমি শোকাহত।' প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভারতরত্ন পাওয়াটা তাঁর কাছে গর্বের বলে জানিয়েছন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। 

এদিন  কোভিড প্রোটোকল মেনেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।  তার আগে দিল্লির রাজাজি মার্গে তাঁর বাসভবনে শেষ শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। চিকিৎসাধীন থাকাকালীন প্রণববাবুর কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। সেই কারণেই তাঁর শেষকৃত্য হয় কোভিডের সমস্ত প্রোটোকল মেনে।