সংক্ষিপ্ত
সকেত গোখলে ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার কমিশনের অফিসে যাবেন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। জনপ্রতিনিধি আইন লঙ্ঘেনের অভিযোগ জানাতে পারে।
জাতীয় মুখপাত্র সকেত গোখলে ইস্যুতে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানাবে। তৃণমূলের অভিযোগ, সকেত গোখলের গ্রেফতারিতে জনপ্রতিনিধিত্বের আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কমিশনের দফতরে যাবে।
প্রতিনিধি দলে থাকবে লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়, লোকসভার চিফ হুইপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভার চিফ হুইপ সুখেন্দু শেখর রায়, রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর, রাজ্যসভার সাংসদ ও সংসদের নেতা ডেরেক ওব্রায়েন। তাঁরা আধ ঘণ্টার জন্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে থাকবেন বলেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
সকেত গোখলে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র। তাঁকে চার দিনের মধ্যে দুই বার গ্রেফতার করা হয়েছে। যা নিয়ে নিজেই উষ্মা প্রকাশ করেছেন সকেত গোখলে। তিনি বলেন, গুজরাটের মোরবি ব্রিজ ভেঙে যাওয়া নিয়ে একটি ছোট ঘটনায় টুইট করার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন সকেত গোখলে প্রশ্ন তোলেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি গুজরাট পুলিশ। কেন গুজরাট পুলিশ নীরব তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সকেত গোখলেকে গত ৬ ডিসেম্বর প্রথম গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ। বৃহস্পতিবার তিনি জামিনে মুক্তি পান। তারপর সেই দিনই দ্বিতীয়বার সকেত গোখলেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তিনি জামিনে মুক্তি পান। সকেত শনিবার বলেন, 'মাত্র চার দিনের ব্যবধানে বিজেপির নির্দেশে আমি গ্রেফতার হয়েছিলাম, জামিন পেয়েছি, আবার গ্রেফতার হয়েছি, আবার জামিন পেয়েছি।' তবে তিনি নিজের স্বাধীনতার জন্য দেশের বিচার ব্যবস্থার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিজেপি ভেবেছিল তারা যা করছে তা তাঁকে ভেঙে দেবে। বিজেপির কাজ হাস্যকর বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন বিজেপির এই কাজের জন্য তাঁর বিজেপি বিরোধিতা আগামী দিনে আরও বাড়বে।
সকেত গোখলের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসও উষ্মা প্রকাশ করেছে। ডেরেক এই বিষয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন। অন্যদিকে অভিযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়ও সকেতের গ্রেফতারি বলেছিলেন গণতন্ত্র হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দলের পক্ষ থেকেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।