সংক্ষিপ্ত

বাংলা জয়ের পর তৃণমূলের লক্ষ ত্রিপুরা জয়। ইতিমধ্যে সেই লক্ষ্যে কাজ ও শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। দফায় দফায় একাধিক ব্যক্তি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এবার তাঁদের সাহায্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তৃণমূল। 
 

বাংলার মসনদে শক্তিশালী আধিপত্য বিস্তারের পর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (All india Trinomul Congress) লক্ষ্যে বেশ কিছু রাজ্য, যার মধ্যে ত্রিপুরা (Tripura) অন্যতম। দফায় দফায় একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) থেকে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) একের পর এক নেতারা সেখানে গিয়ে নানান ধরণের প্রচার ও চালিয়েছেন।  তবে এবার ত্রিপুরা বাসীর মন পেতে একেবারে মোক্ষম পন্থা আপন করেছে তৃণমূল (TMC)। তাঁদের লক্ষ্য ত্রিপুরায় মানুষের দুয়ারে পৌঁছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা পৌঁছে দেবেন তাঁরা। পাশাপাশি বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে যে বিজেপির হার হয়েছে সেকথা ও প্রচার করবেন তারা। 

আরও পড়ুন- 'মুখ্যমন্ত্রী কি সংবিধান মেনে চলেন,' রাজ্যপালের কাছে মমতার শপথ গ্রহণ ইস্যুতে কটাক্ষ শুভেন্দুর

প্রসঙ্গত, বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 9Mamata Banerjee) কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, রূপশ্রীর মতো নানা ধরণের প্রকল্প আগেই চালু করেছিলেন। তবে বর্তমানে স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় এসেছেন একাধিক মানুষ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের এই গভীর ভূমিকা রয়েছে। এবার এই সকল প্রকল্পের বার্তাই ত্রিপুরার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নামতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। এই প্রসঙ্গে সুস্মিতা দেব (Sushmita Deb) জানিয়েছেন "আমরা ঘরে বসে থেকে রাজনীতি করতে চাইনা। মানুষের কাছে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেটা পূরণ করতে ব্যর্থ বিজেপি (BJP)৷ আর পাশের রাজ্যে মানুষের কাছে মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কিভাবে একাধিক সুবিধা পৌছে দিচ্ছেন তার ফারাক বোঝানো হবে।"

আরও পড়ুন-তৃণমূলে যোগের আগেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ তবে কি কংগ্রেসের হাত ছাড়ছেন না মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

এই লক্ষে ত্রিপুরায় নতুন কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল (TMC committee formed in Tripura)। এই কমিটিই এবার শুরু করে দিচ্ছে প্রতিদিন যোগ দেওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ। সূত্রের খবর মান-অভিমান দূরে সরিয়ে রেখে দলের সকল স্তরের নেতাদের নিয়েই সেই কাজ চলবে তৃণমূল। যদিও এখন ও পর্যন্ত ত্রিপুরার (Tripura) রাজ্য সভাপতি কে হবেন এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয় নি। তবে সুবল ভৌমিককে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া সাংসদ সুস্মিতা দেবও থাকছেন এই কমিটিতে। তবে কেবল কমিটি গড়েই বসে না থেকে সংগঠন শক্তিশালী করতে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে নেমেছে তৃণমূল (TMC)। ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার এলে বাংলার মানুষ যে যে প্রকল্পের সুযোগ সিবিধা পাচ্ছেন সেই সুযোগ সুবিধা ত্রিপুরার মানুষ ও পাবেন এই বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। 

আরও পড়ুন- ডিভিসির জন্যই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, নালিশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি ক্ষুব্ধ মমতার


 

YouTube video player