সংক্ষিপ্ত
- গাড়ি তল্লাশির নামে মহিলাদের কাছ থেকে ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন এক ট্রাফিক পুলিশ
- প্রথমে তাঁদের অশ্লীল ছবি পাঠাতে শুরু করেন
- পরে ওই মহিলাদের পর্নগ্রাফিও পাঠায়
- চাপে পড়ে ওই ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টরকে সরানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে
ট্রাফিক পুলিশ পথে বিপদে পড়লে মানুষকে সাহায্য করবে, যানবাহণ নিয়ন্ত্রণ করবে, এটাই রীতি। সেই রীতিকে এক লহমায় সরিয়ে কয়েকজন মহিলার ফোন নম্বর নিয়ে তাঁদের পর্নগ্রাফি ও অশ্নীল ছবি পাঠালেন এক ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর। ওই মহিলাদের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজামনিকম নামের ওই সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন নারকীয় ঘটনার সাক্ষী তেলেঙ্গানা, সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা
ঘটনার সূত্রপাত ২৫ অক্টোবর। ওই দিন কয়েকজন মহিলার গাড়ি তল্লাশি করে সাব ইন্সপেক্টর। নানা অছিলায় ওই মহিলাদের কাছ থেকে রাজামনিকম নম্বর নেন। মোবাইল নম্বর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের অশ্লীল ছবি পাঠাতে শুরু করেন ট্রাফিক পুলিশটি। প্রথমে হতবাক হয়ে যান তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ বাদে বুঝতে পারেন, ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টরটি তাঁদের এই ধরনের খারাপ ছবি পাঠাচ্ছে। সব কিছু বুঝে ওঠার আগে ওই মহিলাদের পর্নগ্রাফিও পাঠায় ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম
এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফুটতে থাকেন তাঁরা। এই বিহিত করতে ফের তাঁরা ওই এলাকায় যান ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে ওই মহিলারা চিৎকার করে সাব ইন্সপেক্টরকে এই ধরনের ছবি কেন পাঠিয়েছেন, তার জন্য জবাবদিহি চান। প্রথমে সাব ইন্সপেক্টর তাঁদের তেমন পাত্তা দেন না। এমনকী অস্বীকার করেন ওই ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর। কিন্তু ক্রমেই লোক জড়ো হতে থাকে। পরিস্থিতির চাপে পড়ে ওই ট্রাফিক সাব ইনসপেক্টর সকলের সামনে নিজের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চান। ক্ষমা চাওয়ার সম্পূর্ণ ঘটনার ভিডিও করেন অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি। সোশ্যল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট করলে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। পরিস্থিতির চাপে পড়ে ওই ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।