ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যায়, সবুজ রঙের লেহঙ্গা পরিহিত পরিণীতা মঞ্চে গানের তালে তালে নাচছিলেন। নাচার সময় হঠাৎ করে সেখানেই পড়ে যান ওই তরুণী। জানা গেছে, ওই অনুষ্ঠানে প্রচুর অতিথি সমাগম হয়েছিল। 

দিদির বিয়ে বলে কথা, বোনের আনন্দ তো হবেই । গোটা বিয়ে বাড়িতে যেন সকলেই ব্যস্ত । চলছে মঞ্চে অনুষ্ঠানও । হঠাৎ ঘটল ছন্দপতন। বিয়েবাড়ির আনন্দ মুহূর্ত বদলে গেল শোকের পরিবেশে। বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে নাচতেই আচমকা পড়ে গেলেন ২৩ বছরের তরুণী। লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হল না। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা আনন্দের পরিবেশে নামল বিষাদের ছায়া।

সংবাদ সূত্রে জানা যায়, মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল । সেখানে নাচতে নাচতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ইনদওরের বাসিন্দা ২৩ বছরের পরিণীতা জৈন। খুড়তুতো দিদির বিয়ের ‘হলদি’র অনুষ্ঠানে মঞ্চেই নাচতে নাচতে হঠাৎ পড়ে যান পরিণীতা। দ্রুততার সঙ্গে ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে, এমনই অনুমান কর্তব্যরত চিকিৎসকদের।

শনিবার রাতের গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ‘প্রিয়া রাজপুতলাইভ’ নামের এক্স হ্যান্ডলে দেখা গিয়েছে । যদিও সেই ভিডিয়ার সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা । ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যায়, সবুজ রঙের লেহঙ্গা পরিহিত পরিণীতা মঞ্চে গানের তালে তালে নাচছিলেন। নাচার সময় হঠাৎ করে সেখানেই পড়ে যান ওই তরুণী। জানা গেছে, ওই অনুষ্ঠানে প্রচুর অতিথি সমাগম হয়েছিল। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন চিকিৎসক যারা উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। ওই অবস্থায় ছুটে গিয়ে তাঁরা পরিণীতাকে সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। জানা যায়, তাদের সেই প্রাথমিক চিকিৎসায় সাড়া দেননি পরিনীতা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তরুণীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।পরিবার সূত্রে জানা যায়, পরিণীতা এমবিএতে স্নাতক ছিলেন। তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ইনদওরের দক্ষিণ তুকোগঞ্জে থাকতেন। তাঁর আচমকা মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।