সংক্ষিপ্ত
মানজাম্মা জোগতি কর্নাটকের বাসিন্দা। জনপদ একাডেমির প্রথম ট্রান্স-প্রেসিডেন্ট। এই প্রতিষ্ঠানটি রাজ্য সরকারের লোকশিল্পের জন্য শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। মানজাম্মা ৬এর দশক থেকেই সামাজিক ও আর্থিক সংগ্রাম করছেন।
শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য পদ্মশ্রী সম্মান (Padma Awarde) পেলেন মানজাম্মা জোগতি (Manjamma Jogati)। দেশের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার (Trancgender) তিনি, যাঁর হাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্ড (Ram Nath Kovid) দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান তুলে দেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর পোস্ট করা অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও মন কেড়ে নিয়েছে নেটিজেনদের। যেখানে দেখা যাচ্ছে মানজাম্মা রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওটিতে দেখা গেছে গাড় নীল রঙের শাড়ি পরে মানজাম্মা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দিকে পুরস্কার নেওয়ার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে রাষ্ট্রপতির সামনে এক অভিনব অঙ্গভঙ্গি করেন। তারপরই রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেন। রীতিমত ভূবন মোহিনী হাসিমুখে পুরস্কার নেন তিনি।
দেখুন সেই ভিডিওঃ
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরে কথায় মোনজাম্মা রাষ্ট্রপতির শুভ কামনা করার জন্যই এজাতীয় আচরণ করেছিলেন। এটি একটি স্থানীয় প্রথা।
মানজাম্মা জোগতি কর্নাটকের বাসিন্দা। জনপদ একাডেমির প্রথম ট্রান্স-প্রেসিডেন্ট। এই প্রতিষ্ঠানটি রাজ্য সরকারের লোকশিল্পের জন্য শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। মানজাম্মা ৬এর দশক থেকেই সামাজিক ও আর্থিক সংগ্রাম করছেন। আগে তিনি মঞ্জুনাথ শেঠি নামে পরিচিত ছিলেন। বয়ঃসন্ধির সময় থেকেই মহিলা হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে পরিবার তাঁকে ত্যাগ করে। জোগাপ্পার দীক্ষা দেওয়ার জন্য হোসপেটের কাছে হুলিগেয়াম্মার মন্দিরে নিয়ে যায়- এই মন্দিরে বৃহন্নলারা তাদের দেবী রেণুকা হয়েল্লামার সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করে। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী এই সম্প্রদায়ের মানুষ দেবীকেই স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে। তারপর থেকেই পরিবার তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
Aryan Kahan Case: দাউদ ঘনিষ্ঠের সঙ্গে নবাব মালিকের যোগ, ফড়ণবীসের অভিযোগর পর কী বললেন মন্ত্রী
Climate Change: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসুস্থ বিশ্বের 'প্রথম' মহিলা, লড়াই জটিল রোগের সঙ্গে
দারিদ্র্য, সামাজিক বর্জনের বিরুদ্ধে মানজাম্মার লড়াই ছিল ছোটবেলা থেকে। পরবর্তীকালে শারীরিক নির্যাতনেরও শীকার হতে হয়েছে তাঁকে।কিন্তু জীবনে থেকে থাকেননি তিনি। শিল্পের মধ্যেই শান্তি প্রশান্তি আর লড়াই করার শক্তি পেয়েছিলেন। জোগতি নৃত্য, জনপদ গান আর তাঁর মত নিপীড়িতদের সেবায় এগিয়ে আসেন তিনি। নিজগুণে তিনি কন্নড় ভাষার সনেটও আয়ক্ত করেছিলেন।
২০০৬ সালে তিনি কর্ণাটক জনপদ একাডেমি পুরস্কার পান। ১৩ বছর পর ২০১৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানেরই প্রথম ট্রান্স জেন্ডার সভাপতি হন। কর্ণাটক সরকার তাঁকে বার্ষিক কন্নড় রাজ্যোৎসব পুরস্কারে সম্মানিত করেছে।