'ভূত ধর্ষণ করেছে', শরীর থেকে ভূত তাড়ানোর নামে মহিলাকে ধর্ষণ তান্ত্রিকের
ভূত তাড়ানোর নামে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ত্রান্তিককে হন্যে হয়ে খুঁজছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।
- FB
- TW
- Linkdin
তান্ত্রিকের কুকীর্তি
ভূত তাড়ানোর নামে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রীতিমত সোরগোল উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরে।
মহিলার রোগ সারাতে আসে ত্রান্তিক
গোরক্ষপুরের মহিলা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। রোগ সারাতে আসে এক তান্ত্রিকের। সেই সময় রোগ সারানোর নামে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
তান্ত্রিকের দাবি
মহিলা জানিয়েছেন, তান্ত্রিকের কাছে গেলে সে দাবি করে মহিলার ঘাড়ে অনেক দোষ রয়েছে। অশরীরি আত্মা ভর করে রয়েছে। সেই কারণেই সে অসুস্থ।
তান্ত্রিকের দাবি
মহিলার ঘাড়ে চড়া ভূত মহিলাকে বারবার ধর্ষণ করেছে। সেই কারণেই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারপরই ভূত তাড়াতে হবে বলে দাবি করে।
মহিলার অভিযোগ
মহিলাকে তান্ত্রিক ভূত তাড়ানোর নামে ক্ষীর খেতে দেয়। মহিলার অভিযোগ ক্ষীরে মেশান ছিল কড়া নেশার দ্রব্য। যা খেয়ে মহিলা অচৈতন্য হয়ে পড়ে। সেই সময়ই তান্ত্রিক তাঁকে ধর্ষণ করে।
মহিলার অভিযোগ
তান্ত্রিক আগে থেকেই বলে ছিল ভূত তাড়াতে যজ্ঞ করতে হবে। সেখানে ক্ষীর দিতে খেতে হবে। আর ক্ষীর যজ্ঞে অর্পণ করতে হবে। তাতে সব অশুভ শক্তি পুড়ে বিনষ্ট হবে।
ক্ষীর খেয়েই অজ্ঞান
মহিলা বলেছেন, তাঁকে যজ্ঞের সামনে বসেই কিছুটা ক্ষীর খেতে বলা হয়। কিন্তু ক্ষীর খাওয়ার পরেই মহিলা আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তারপর জ্ঞান হারায় বলে দাবি। সেই সময়ই তান্ত্রিক ধর্ষণ করে।
তান্ত্রিকের দাবি
মহিলা জানিয়েছেন, জ্ঞান আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর সঙ্গে খারাপ কিছু হচ্ছে। সেই সময় তান্ত্রিক তাঁকে বলে, ভূত মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। তাই সে তার সঙ্গে যৌনভাবে মিলিত হয়ে ভূত তাড়াচ্ছে।
স্বামীকে জানায়
মহিলা সব ঘটনা তার স্বামীকে জানায়। তারপরই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা তান্ত্রিক।
কুসংস্কারের প্রভাব
কুসংস্কারের কারণে এক মহিলাকে আজ নিগৃহীত হতে হল। কারণ অসুস্থতা সারাতে পারে চিকিৎসক। তান্ত্রিক নয়।