সংক্ষিপ্ত

জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে বিরোধীতা করতে গিয়ে সীতার পাতাল প্রবেশের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। তারপরেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে কুণাল ঘোষের নামে চার্জশিট দায়ের করে ত্রিপুরা পুলিশ। তবে শেষ অধি ত্রিপুরা আদালতে জামিন পেলেন কুণাল ঘোষ। 

 ত্রিপুরা আদালতে জামিন পেলেন কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে বিরোধীতা করতে গিয়ে সীতার পাতাল প্রবেশের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। তারপরেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে কুণাল ঘোষের নামে চার্জশিট দায়ের করে ত্রিপুরা পুলিশ। আত্মহত্যা মামলা থেকে বাঁচতে না বাঁচতেই তারপর তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে সমন জারি করে ত্রিপুরার অমরাবতী জুডিশিয়াল ম্য়াজিস্ট্রেট আদালত। মূলত, ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে সীতার সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য  কুণাল ঘোষের নামে চার্জশিট পেশ করে ত্রিপুরা পুলিশ। তবে এবার সেই মামলায় স্বস্তি মিলেছে। তিনটি মামলাতেই সোমবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ত্রিপুরা আদালত।

সোমবার ত্রিপুরার গোমতী জেলার অমরপুর আদালতে কুণাল ঘোষের হাজিরা ছিল। কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন, 'এই মামলার মধ্য়ে সারবত্তা নেই। রাজনৈতিক চক্রান্ত এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।  সরকারি আইনজীবীর সওয়াল আদালতে গ্রাহ্য হয়নি।'অমরপুর আদালতের জুডিশিয়াল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট সুস্মিতা দাস তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের জামিন মঞ্জুর করেছেন। ব্যাক্তিগত ৩০ হাজার টাকার বন্ডে তিনি জামিন পেলেন। উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, জয় সীতারাম বা সিয়ারাম থেকে বিকৃত বা উদ্দেশ্যপ্রণেদিতভাবে সীতাকে বাদ দিয়ে শ্রীরাম করা হয়েছে। রাম-রাজ্যে অপমানিত হয়ে, সীতাকে প্রথম অন্তঃসত্তা অবস্থায় বনবাসে যেতে হয়েছিল। এরপর পাতাল প্রবেশের মধ্যে দিয়ে কার্যত আত্মহনন করেন তিনি। তারপরেই ত্রিপুরা পুলিশ ধর্মে আঘাত করার জন্য কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে। তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে সমন জারি করে ত্রিপুরার অমরাবতী জুডিশিয়াল ম্য়াজিস্ট্রেট আদালত।

আরও পড়ুন, আজই কি অর্জুন পুত্রের তৃণমূল যোগ ? শ্যামনগরে অভিষেকের সভা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

আরও পড়ুন, 'সীমা ছাড়িয়েছেন সাংসদ', নাম না করে অভিষেককে তোপ ধনখড়ের

প্রসঙ্গত, আত্মহত্যার মামলায় সম্প্রতি কুণালকে দোষী সাব্যস্ত করে রাজ্যের এমপি এমএলএ আদালত। যদিও কোনও শাস্তি দেয়নি কোর্ট। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। তাকে তখন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাখা হয়। ২০১৪ সালে ১৩ নভেম্বর সংশোধনাগারের মধ্যে আচমকাই জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, কুণাল ঘোষ একসঙ্গে অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এরপরেই কুণাল ঘোষকে এসএসকেম-হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিধাননগরের এমএলএ এমপি আদালতে কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টার মামলা বহু দিন ধরেই চলে। এই মামলায় জেলের রক্ষী থেকে কয়েদী, অনেকরই সাক্ষ নেওয়া হয়েছে। অনেক পুলিশ কর্তারও স্বাক্ষ নেওয়া হয়। যদিও কুণাল ঘোষের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তার পেটের ভিতর অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ ছিল।

আরও পড়ুন, 'তুমি অকৃতজ্ঞ, পূর্ব মেদিনীপুরকে দিল্লির কাছে বিক্রি করেছো', নাম না করেই শুভেন্দুকে তোপ অভিষেকের