সংক্ষিপ্ত

ত্রিপুরায় বদল হচ্ছে নির্বাচনের চালচিত্র। বিজেপি পিছিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে বাম কংগ্রেস জোট। তবে আসল তাস তুলে নিতে পারে টিপরা মোথা।

 

ত্রিপুরায় বদল হচ্ছে ভোটের চালচিত্র। সকাল থেকে এই রাজ্যে এগিয়ে ছিল বিজেপি। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিকেই যাচ্ছিল জনমত। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদল যাচ্ছে নির্বাচনী ছবি। এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরায় এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কিন্তু আগের তুলনায় অনেকটাই কম গেছে আসন সংখ্যা। পাল্টা এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের বাম কংগ্রেস জোট। অন্যদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ত্রিপুরায় নির্বাচনী ফ্যাক্টর হতে পারে প্রদ্যোৎ দেববর্মার টিপরা মোথা পার্টি।

ত্রিপুরায় ভোটের চালচিত্রঃ

বিজেপি এগিয়ে ২৪টি আসনে

বাম ও কংগ্রেস জোট এগিয়ে ২০টি আসনে

টিপরা মোথা এগিয়ে ১৬টি আসনে

অন্যান্য রাজনৈতিক দল কোনও আসনে এগিয়ে নেই।

৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ৩১। কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপি-র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাওয়ার কথা। শুধুমাত্র টাইমস নাউ আর ইটিসির বুথ ফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল ত্রিপুরায় ত্রিশুঙ্কু বিধানসভা হতে পারে। ভোটের আগে থেকেই ত্রিপুরার প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মার টিপরা মোথা মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুই যুযুধান শিবির বিজেপি আর বাম-কংগ্রেস জোটের। কোনও জোটে না গিয়ে একাই রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ৪২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। তারই মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যদিও দলের নেতাদের দাবি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়বে তাদের দলের আসন সংখ্যা।

টিপরা মোথা সরকার গঠন করতে পারবে না। তা অবশ্য কিছুটা হলেও স্পষ্ট বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থা টিপরা মোথা ত্রিপুরায় রাজনীতিতে একটি বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। কারণ এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে ত্রিপুরা বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হতে পারে। এই অবস্থায় টিপরা মোথার সমর্থন নিয়েই সরকার গঠন করতে হবে দুই শিবিরের একটি শিবিরকে। তাতে টিপরা মোথাও নিজের শর্ত পুরণ করার চেষ্টা করছে। দর কষাকষি চলবে । পাশাপাশি বিধায়ক কেনাবেচাও হতে পারে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের।

বিজেপির প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এখনও পর্যন্ত মাাত্র ৩০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। উন বরদোওয়ালির প্রার্থী তিনি। তবে বিজেপির একটি সূত্রের দাবি এখনও সময় অনেক বাকি রয়েছে। রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি। বিজেপি জিতলে মানিক সাহাই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে বাম -কংগ্রেস জোট এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর নাম সরকারিভাবে ঘোষণা করেননি। তবে কংগ্রেস নেতার ইঙ্গিত জিতলে সিপিআই(এম) নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। মানিক সরকার ভোটে লড়াই করছেন না।