সংক্ষিপ্ত

ত্রিপুরায় কলেজ ছাত্রীকে লিফট দেওয়ার নাম করে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ। রাতের অন্ধকারে বাইপাসের ধারে ফেলে দিয়ে যায় জখম অবস্থায়। গ্রেফতার মাত্র ১।

 

কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ। তারপর সেই ছাত্রীকে রাস্তার ওপর গুরুতর জখম অবস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। অনেকটাই পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডের ছায়া ত্রিপুরায়। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গৌতম শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছেন, সোমবার দিনভর ছাত্রীটি গৌতমের সঙ্গেই চিল। একই গাড়িতে ঘোরাঘুরি করে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে গাড়িতে ছাত্রীর একাকীত্বের সুযোগ নিয়ে ছাত্রীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি করা হয়। সবশেষে আমতলি বাইপাসের কাছে ফেলে দিয়ে যায়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মেয়েটি মূল অভিযুক্তের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কথাবর্তা বলত। তবে এই ঘটনায় অন্যরা কতটা জড়িত তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নির্যাতিতার মায় জানিয়েছে, তাঁর মেয়ে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। সেই সয়মই গৌতম তাকে তার গাড়িতে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে চায়। মেয়েটি লিফটের সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না। মেয়েটি গা়ড়িতে ওঠে। তারপরই তাঁর ২০ বছর মেয়েকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। তিনি অবশ্য অপহরণের কথাই বলেছেন। নির্যাতিতার মায়ের আরও দাবি, গাড়িতে মোট তিন জন তরুণ ছিল। তারা প্রত্য়েকেই তাঁর মেয়ের ওপর যৌন নিপীড়ন করে। তারপর মেয়েকে রাতের অন্ধকারে আমতলি বাইপাসে ফেলে দিয়ে যায়।

নির্যাতিতার আত্মীয়রা জানিয়েছেন, রাস্তার ওপর মেয়েটি গুরুতর জখম অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। সেখানেই পরিবারের সদস্যরা যায়। পরিবারের সদস্যরাই হাসপাতালে ভর্তি করে নির্যাতিতাকে।

তবে এই ঘটনার পরেই বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া দত্ত ও দলের মহিলা মোর্টার নেতারা হাসপাতালে গিয়ে মহিলার স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ খবর করে। পাপিয়া জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নির্দেশে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। অপরাধীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, পুলিশ দ্রুপ পদক্ষেপ করছে। রাজ্য সরকার নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের পাশে থাকবে।

অন্যদিকে সিপিআই(এম) তার ছাত্র সংগঠন ডিওয়াইএফআই, এসএফআই- এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। তারা পুলিশ হেডকোয়াটার ঘেরাও করে। প্রবল বিক্ষোভ দেখায়। দলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বিজেপির জমানায় রাজ্যে মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা কার্যত নেই। গণধর্ষণের তিন পরে পুলিশ শুধুমাত্র কালপ্রিটকেই গ্রেফতার করতে পেরেছে। বাকিরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তদন্ত ধীর গতিতে চলছে বলেও জানিয়েছ সিপিআই(এম)। এই নিয়ে আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছে তারা।