সংক্ষিপ্ত
প্রথাগত চাষে লোকসানের পর হেত সিং গাজর চাষ শুরু করেন এবং এই সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য বरदान হয়ে ওঠে। জেনে নিন কতটা সফল জীবন যাপন করছেন হেত সিং এবং তাঁর পরিবার।
ভরতপুর। ভরতপুর জেলার রূপবাস উপখণ্ডের গ্রাম বুরানার কৃষক হেত সিংয়ের পরিশ্রম এবং বুদ্ধিমত্তা তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। প্রথাগত চাষে লোকসানের পর হেত সিং গাজর চাষ শুরু করেন এবং এই সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য বरदान হয়ে ওঠে। আজ তিনি কেবল আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীই নন, অন্যান্য কৃষকদের জন্যও অনুপ্রেরণা।
হেত সিংয়ের মোট ৫ বিঘা জমি আছে, যেখানে আগে তিনি গম এবং বাজরা জাতীয় প্রথাগত ফসল চাষ করতেন। তবে, লাভ না হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে ট্রাক চালানোর কাজ শুরু করেন। তিন বছর আগে আগ্রার সবজি মণ্ডিতে তাঁর দেখা হয় মথুরা জেলার মনোরপুর গ্রামের কৃষক রাম কিষণের সাথে। রাম কিষণ গাজর চাষ করার পরামর্শ দেন এবং তাকে এর কৌশল এবং সুবিধা বোঝান। এই সাক্ষাত হেত সিংয়ের জীবন বদলে দেয়। হেত সিং ৪ বিঘা জমিতে গাজর চাষ শুরু করেন। এক বিঘায় প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয় এবং ৪ মাসে এই ফসল ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ দেয়। এইভাবে কম খরচে এবং কম সময়ে তিনি ভালো আয় শুরু করেন। তাঁর মতে, গাজরের ফসল তৈরি হতে মাত্র ৪ মাস সময় লাগে এবং এর পরে তিনি অন্যান্য ফসলও চাষ করেন।
পরিবার সুখী জীবন যাপন করছে
আজ হেত সিংয়ের পরিবার সুখী জীবন যাপন করছে। তিনি জানিয়েছেন যে এখন তিনি সম্পূর্ণরূপে চাষের উপর নির্ভরশীল এবং ট্রাক চালানোর কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। গাজর চাষ তাঁর আর্থিক অবস্থাকে শক্তিশালী করেছে এবং পরিবারের খরচের সাথে সাথে সঞ্চয়ও শুরু হয়েছে। হেত সিংয়ের মতে, সঠিক তথ্য এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে কৃষক নিজের ভাগ্য নিজেই বদলাতে পারে। গাজর চাষ তাকে শিখিয়েছে যে যদি কৃষক প্রথাগত চাষ থেকে সরে এসে নতুন কৌশল এবং ফসল গ্রহণ করে, তবে কেবল লাভই হবে না, চাষের সাথে জড়িত তাদের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।