সংক্ষিপ্ত

ঠান্ডা মাথায় নৃশংস খুনের নতুন দৃষ্টান্ত দেখা গেল কর্ণাটকে। এক ব্যক্তি যেভাবে স্ত্রীকে খুন করেছে, সেটা দেখে শিউরে উঠেছে সারা দেশ।

রাতের খাবার দেননি স্ত্রী। এই নিয়ে শুরু হয় ঝগড়া। সেই ঝগড়াই চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। প্রচণ্ড রাগে স্ত্রীর মাথা কেটে খুন করার পর চামড়া ছাড়িয়ে নিল এক ব্যক্তি। এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকের টুমকুরের কুনিগাল তালুকের হুলিয়ুরুদুর্গা শহরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর ভিডিও। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মৃতার শরীরের চারপাশে জমাট বেঁধে আছে রক্ত। তাঁর চমাড়া ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে বলে শিরা-উপশিরা-ধমনী দেখা যাচ্ছে না। দেহের পাশেই পড়ে আছে কাটা মাথা। সোমবার রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পারিবারিক অশান্তির নৃশংস পরিণতি

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শিবারামা। তার সঙ্গে স্ত্রী পুষ্পলতার (৩৫) নিয়মিত ঝগড়া হত। সোমবার রাতেও ঝগড়া শুরু হয়। সেই সময় তাদের ৮ বছরের ছেলে ঘুমোচ্ছিল। পুষ্পলতা খেতে না দেওয়ায় রেগে যায় শিবারামা। পাল্টা শিবারামার কাজকর্ম নিয়ে খোঁচা দেন পুষ্পলতা। এরপরেই ধারলো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করে পেশায় কাঠকলের কর্মী শিবারামা। এরপর সে ম্যাশেটের সাহায্যে স্ত্রী মাথা কেটে নেয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতচিহ্ন তৈরি করে। স্ত্রীর চামড়া সম্পূর্ণ ছাড়াতে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত সময় লেগে যায় শিবারামার। এরপর তারা যে বাড়িতে ভাড়া থাকত সেই বাড়ির মালিককে খুনের কথা জানায়। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করার পর শিবারামাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তদন্ত শুরু পুলিশের

টুমকুরের পুলিশ সুপার অশোক ভেঙ্কট জানিয়েছেন, ‘৩৫ বছর বয়সি এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর স্বামী ঘটনাস্থলেই ছিলেন। জেরার মুখে তিনি স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করেন। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

ফোন কেড়ে নেওয়ায় আক্রোশ! বাবা, মা, বোনকে একসঙ্গে খুন করল ১৬ বছরের কিশোর

Ghaziabad: স্ত্রীকে ওড়নার ফাঁস দিয়ে খুন করে মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি তোলার পর আত্মহত্যা

Pakistan: খাওয়াতে পারছিল না, স্ত্রী, ৭ সন্তানকে খুন পাকিস্তানি যুবকের