সংক্ষিপ্ত
ডোরসের মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর প্রাক্তন টুইটারের সিইওকে ডেকেছিলেন এবং কৃষকদের প্রতিবাদের বিষয়ে তার দাবিগুলি বাতিল করেছিলেন।
কংগ্রেস দলের প্রাক্তন সভাপতি এবং প্রাক্তন ওয়ানাড সাংসদ রাহুল গান্ধী আমেরিকার মাটি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকার এবং বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে একটি বড় পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। তার পর থেকে মাত্র দুই সপ্তাহ হয়েছে। তাই যখন টুইটারের প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডোরসে হঠাৎ করে একটি ইউটিউব চ্যানেলে উপস্থিত হন এবং ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি করা শুরু করেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা আক্রমণের সময় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
অনেক ব্যবহারকারী টুইটারে জ্যাক ডোরসের মন্তব্যে তাদের মতামত শেয়ার করেছেন। টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অভিযোগ করেছেন যে কোম্পানিটি ভারত থেকে কৃষকদের বিক্ষোভ এবং সরকারের সমালোচনাকারী অ্যাকাউন্টগুলিকে ব্লক করার জন্য 'অনেক অনুরোধ' পেয়েছে। তিনি আরও বলেন যে কৃষক বিক্ষোভের সময়, ভারত সরকার প্ল্যাটফর্মটিকে চাপ দিয়েছিল, সতর্ক করে দিয়েছিল যে এটি বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ফার্মটি অনুসরণ না করলে টুইটার কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হবে।
ডোরসের মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর প্রাক্তন টুইটারের সিইওকে ডেকেছিলেন এবং কৃষকদের প্রতিবাদের বিষয়ে তার দাবিগুলি বাতিল করেছিলেন। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা এই মন্তব্যগুলিকে রাহুল গান্ধীর গোপন মার্কিন বৈঠকের সাথে যুক্ত করতে চেয়েছিলেন। তাদের দাবি জ্যাক ডোরসের বক্তব্য ও রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের সময়ের মধ্যে কোনও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
টুইটারের প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডোরসে-র বয়ানে ক্ষিপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়ে বলেছেন যে, আমাদের একটার উদ্দেশ্য ছিল যে ভারতীয় আইন-কে টুইটারের কর্মপদ্ধতিতে বলবৎ করা। তিনি বয়ানে আরও উল্লেখ করেছেন যে, জ্যাক ডোরসে-র নেতৃত্বে টুইটার কোনওভাবেই ভারতীয় আইনকে মেনে চলেনি। তারা ছিল লাগাতার আইন-লঙ্ঘনকারী একটি সংস্থা। ২০২০ থেকে ২০২২-এর জুন পর্যন্ত টুইটার লাগাতার ভারতীয় আইনকে লঙ্ঘন করে তাদের মাইক্রো ব্লগিং সাইট দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আক্রমণ শানিয়েছিল। একমাত্র ২০২২ সালের জুন মাসের পর থেকে টুইটার ভারতীয় আইন মেনে কাজ করতে শুরু করে।
চন্দ্রশেখর, তার বক্তব্যে, ডরসির দাবিগুলিকে খণ্ডন করেছেন এবং টুইটারে ডরসির মেয়াদে পক্ষপাতমূলক আচরণকে হাইলাইট করেছেন। উল্লেখ্য, ১২ জুন একটি ইউটিউব চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেন টুইটারের প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডোরসে। সেখানেই তাঁকে যে প্রশ্ন করা হয় তারমধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল যে কোনও বিদেশি রাষ্ট্র তাকে কোনওভাবে কখনও চাপ দিয়েছিল কি না? এর জবাব দিতে গিয়েই জ্যাক ডোরসে বলেন, যে ভারত সরকার একটা সময় তাঁকে কড়া হুমকি দিয়েছিল শুধু নয়, টুইটার ইন্ডিয়া-কে বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। জ্যাক ডোরসে এই মন্তব্যের পর থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।