সংক্ষিপ্ত

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন রয়েছেন যিনি মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় দুই উপজাতি মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন এবং তাদের একজনকে টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর করার ভয়ঙ্কর ভিডিও সামনে আসার পর দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪ মে এর ঘটনায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় উঠেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন রয়েছেন যিনি মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় দুই উপজাতি মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন এবং তাদের একজনকে টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার প্রকাশিত ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে কাংপোকপি জেলার বি ফাইনোম গ্রামে জনতার নির্দেশ দিতে দেখা গেছে।

ভিডিওটিকে প্রমাণ হিসেবে সামনে রেখে পুলিশ গতরাতে বলেছে যে অপহরণ, গণধর্ষণ এবং হত্যার একটি মামলা থৌবাল জেলার নংপোক সেকমাই থানায় অজানা সশস্ত্র লোকদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চলছে।

ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করে। ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন প্রধান আসামি। পুলিশ মেইতি সম্প্রদায়ের অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে মহিলাকে যখন নগ্ন করে হাঁটানো হচ্ছিল, তখন প্রধান অভিযুক্ত, যিনি সবুজ টি-শার্ট পরা ছিলেন, মহিলাটিকে ধরেছিলেন। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তের নাম হুইরেম হেরোদাস মেইতি। তার বয়স ৩২ বছর। অভিযুক্তের বাবার নাম এইচ রাজেন মেইতি, পেচি আওয়াং লেইকাইয়ের বাসিন্দা।

এই দুই মহিলাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে গ্রামবাসী হেরাদাশ সিংয়ের অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং তার পরিবারকেও বহিষ্কার করেছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ঘটনাটিকে "অমানবিক" বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে দোষীদের "মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি" প্রাপ্য। তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি একে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং এই জঘন্য অপরাধে তার সরকার নীরব থাকবে না বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেছিলেন যে ভিডিওটি দেখার সাথে সাথেই, তিনি সাইবার ক্রাইম বিভাগকে এর সত্যতা পরীক্ষা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং অপরাধীদের ধরতে সন্দেহভাজন এলাকায় ব্যাপক চিরুনি অভিযান চালানোর জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে তার সরকার রাজ্যে শান্তি ও স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নাগরিক সমাজের সংগঠন, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা ওই দুই নারীকে ধর্ষণ করার আগে নগ্ন হয়ে হাঁটতে বাধ্য করে।