সংক্ষিপ্ত

 

তৃণমূলের দুই বিধায়কের দলত্যাগে ধাক্কা মেঘালয়তে। দুজনেই ক্ষমতাসীন এপিপিতে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে রাজ্যে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ৯।

 

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছর মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগেই পাহাড়ি রাজ্যে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। মেঘালয় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক বৃহস্পতিবার দল বদল করে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল এনপিপিতে যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। তাতেই তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১২ থেকে ৯তে নেমে গেছে। এদিন উত্তর গারো পার্বত্য জেলার মেন্দিপাথআরের বিধায়ক মার্থন সাংমা ও পশ্চিম গারো পার্বত্য জেলার টিকরিকিল্লার জনপ্রতিনিধি জিমি ডি সাংমা দল বদল করে শাসক শিবিরে চলে যান।

তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক দল বদলের আগে দল ও বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেন। তারপরই তাঁরা নতুন দলে যোগ দেন। দুজনেই কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে গত বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভ করেছিলেন। গতবছর রাজ্যের এক ডজন বিধায়কের সঙ্গে তাঁরাও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাতে রাতারাতি বিরোধী দলের তকমা কংগ্রেসের হাত থেকে চলে যায় তৃণমূলের হাতে। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূলের ভাঙন শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর মাসেই মৌসিনরামের তৃণমূল বিধায়ক হিমালয় এম শাংপ্লিয়াং বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আরও দুই বিধায়ক তৃণমূল ছেড়েছে। ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় তৃণমূলের দখলে রয়েছে মাত্র ৯টি আসন।

তৃণমূলের দুই বিধায়ককে এনপিপিতে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাডকে সাংমা। তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, তৃণমূলের দুই বিধায়কের দল বদলে এনপিপি আরও শক্তিশালী হয়েছে। দুই বিধায়কের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের উন্নয়ন আরও গতি পাবে, দল রাজ্যের জন্য আরও বেশি করে কাজ করতে পারবে বলেও দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে মেঘালয়কেও রীতিমত গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর পূর্ব ভারতে ঘাসফুলের মাটি শক্ত করার জন্য গত ডিসেম্বরেই তিন দিনের সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেঘালয়ের রাজধানী শিলং গিয়েছিলেন। সেই সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একাধিক দলীয় ও জনসংযোগমূলক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেছিলেন মমতা ও অভিষেক। তাঁরা ধসে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহতের পরিবারের হাতে ক্ষতিপুরণের টাকাও তুলে দিয়েছিলেন। যাইহোক বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেঘালয় যে তৃণমূলের বিশেষ নজরে রয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু ভোটের আগে এই দল বদল কিছুটা হলেও ঘাসফুল শিবিরের সমস্যা বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সব কিছুই এখন সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে।