সংক্ষিপ্ত
'HMS Tamar' হল দুটি রয়্যাল নেভি জাহাজের মধ্যে একটি যা ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় স্থায়ীভাবে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই জাহাজের অধিগ্রহণ সামুদ্রিক ডোমেন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াবার প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রয়্যাল নেভির টহলদারি জাহাজ এইচএমএস তামারকে শুক্রবার ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থায়ী মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুতি শুরু হল। জানা গিয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে এই ব্রিটিশ নৌসেনার অফশোর পেট্রল ভেসেল। জাহাজটি এবং এর ক্রুরা ভারতীয় নৌবাহিনীর সাথে পাঁচ দিনের সমুদ্র মহড়া করবে।
৫৫০০ এর উপরে মাইলেজ এই জাহাজের
HMS Tamar বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা পালন করে, ড্রাগ-পাচারকারী এবং বিবিধ পণ্য আটকানো থেকে শুরু করে ব্রিটেনের আঞ্চলিক জলসীমা রক্ষা করা এর প্রধান কাজ। এছাড়াও দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা দেওয়া এর কাজের মধ্যে পড়ে। জাহাজটি রয়্যাল মেরিন কমান্ডোদের সঙ্গে অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এর রেঞ্জ ৫,৫০০ মাইলেজের বেশি।
'HMS Tamar' হল দুটি রয়্যাল নেভি জাহাজের মধ্যে একটি যা ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় স্থায়ীভাবে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই জাহাজের অধিগ্রহণ সামুদ্রিক ডোমেন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াবার প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ফার্স্ট সি লর্ড, অ্যাডমিরাল স্যার বেন কী ভারত মহাসাগরে তার প্রথম সমুদ্রযাত্রার সময় বলেন, “আমি আনন্দিত যে এইচএমএস তামার এই সপ্তাহে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সফর করছে। এখানকার মানুষের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর সাথে সম্পর্ক তৈরির সুযোগ অমূল্য অভিজ্ঞতা হিসেবে থাকবে।
উল্লেখ্য, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিন বরাবরই দাদগিরি ফলায়। একাধিকবার উস্কানিমূলক কাজও করেছে বেজিং। যার কারণে সামরিক টানাপোড়েন ও সংঘাতের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে এই অঞ্চলে। চিনের আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সহ বেশিরভাগ ইন্দো-প্যাসিফিক দেশ চিনের আগ্রাসী মনোভাবের জন্য ক্ষুব্ধ। ছোট দেশগুলোর সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করে আসছে চিন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চিন সম্পর্কে এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে, চিন তার আধিপত্য বজায় রাখতে সামরিক শক্তি দিয়ে অন্যান্য দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত দমন করে।