সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেনের মন্ত্রিসভা, বিদেশ মন্ত্রক, পরিকাঠামো, শিক্ষা ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে গেছে। এর আগে অবশ্য একটি হ্যাকিংএর ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেছে কিয়েভ।
সামিরক অভিযানের পাশাপাশি রাশিয়া (Russia) কি ইউক্রেনের (Ukraine) বিরুদ্ধে সাইবার অভিযানও চালাচ্ছে? কারণ সম্প্রতি ইউক্রেন প্রশাসন দাবি করেছে দেশের প্রধান প্রধান ওয়েবসাইটগুলি (Website) বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ডাউন হয়ে রয়েছে। তাতেই ইউক্রেন মনে করেছে রাশিয়া সামরিক যুদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সাইবার আক্রামণও চালিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, ইউক্রেনের মন্ত্রিসভা, বিদেশ মন্ত্রক, পরিকাঠামো, শিক্ষা ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে গেছে। এর আগে অবশ্য একটি হ্যাকিংএর ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেছে কিয়েভ। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন ইউক্রেনের ইউক্রেনের কয়েক হাজার কম্পিউটারে ডেটা-ওয়াইপিং টুল পাওযা গেছে। যা ইউক্রেনবাসীর মন বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনের সাইবার সিকিউরিটি সেলের প্রধান চার্লস কারমাকাল জানিয়েছেন তাঁরা এই বিষয়ে নিশ্চিত যে ইউক্রেনের একাধিক বাণিজ্যিক ও সরকারি সংস্থার কম্পিউটার ধ্বংসাত্মক ম্যালওয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।
আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয় নিয়ে সতর্ক করেছিল ইউক্রেনকে। সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎবানী করেছিল। পরবর্তীকালে আমেরিকা বলেছিল যেকোনো সময়ই হামলা রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালাতে পারে। কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছিল ইউক্রেন। দাবি করেছিল রাশিয়ার কারণে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট ও বড় বড় ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে।
ভোরবেলাই টেলিভিষণে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর যুদ্ধ ঘোষণার পরই রুশ বাহিনী ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণ করে। রাশিয়ার (Russia) দাবি ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে ইতিমধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। হামলা চালান হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেও (Kyiv)। যুদ্ধের আতঙ্কে পুরোপুরি নিস্তব্ধ রাজধানী কিয়েভ। দীর্ঘ দিন ধরেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট চলছিল। এই অবস্থায় পুতিন জানিয়েছেন, আধুনিক ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে রাশিয়া নিজেকে নিরাপদ মনে করছে না। যা দিনে দিনে রাশিয়ার অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলছে। তাই এই যুদ্ধে রক্তপাতের সমস্ত দায়ই ইউক্রেনের। সেই কারণ দেখিয়ে তিনি ইউক্রেনের সেনা বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। পুতিন আরও বলেছেন, রাশিয়ার উদ্দেশ্য ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল করা বা রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা নয়। মস্কো কোনও কিছুই ইউক্রেনের ওপর চাপিয়ে দেবে না।
যদিও রাশিয়ার হামলার পরই ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, রাশিয়ার এই হামলার জবাব দেবে ইউক্রেন। এই যুদ্ধে তারা লড়াই করবে। জেতার বিষয়েও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে এটি একটা আগ্রাসনের যুদ্ধে। তাই ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে মাথা নত করবে না।
'ডিএম কাকু'- বলে অফিসে ঢুকে নালিশ ৭ বছরের মেয়ের, অবাক জেলা শাসক
'ডিএম কাকু'- বলে অফিসে ঢুকে নালিশ ৭ বছরের মেয়ের, অবাক জেলা শাসক
নবাব মালিক ইস্যুতে মমতাকে ফোন পাওয়ারের, জানতে চাইলেন 'কী করতে হবে'