সংক্ষিপ্ত
মে ও মেয়ের প্রেমিককে খুন করেল মা। মা আবার একটি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান। প্রবল জনরোষের কারণে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ কর মহিলা।
বাড়ির ড্রাইভারের সঙ্গে মেয়ের প্রেম- মেনে নিতে পরেনি মা। তাই কি পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিককে হত্যা করল। তেমনই অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে। বেগুসরাই রেল স্টেশন থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দীরে একটি রেললাইনের ধারে জো়ড়া দেহ উদ্ধার হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।
পুলিশ জানিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম রামনুনু পাসওয়ান। তাঁর বয়স ২৫ বছর। লাখো থানার অন্তর্গত রাজাপুর জুমরির বাসিন্দা তিনি। তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই গাড়ি চালালেন অযোধ্যাবাড়ি গ্রামের স্থানীয় মহিলা সরপঞ্চ বা গ্রাম প্রধানের। তাঁর মেয়ে রূপম কুমারীর দেহ উদ্ধার হয় ড্রাইভার রামনুনু পাসওয়াসের সঙ্গে।
স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন ড্রাইভারের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান অনিতা দেবী এই সম্পর্ক মেনে নিতে চাননি। বারবার মেয়েকে বাধা দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ড্রাইভারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও মেয়ে বাড়ির ড্রাইভারের সঙ্গে সম্পর্কে রেখে যাচ্ছে। যা সহ্য করতে পারেননি মা। তারপরই পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিককে খুনের পরিকল্পনা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেয়েছে অনিতা দেবীই ড্রাইভারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। বলেছিলেন একটি ট্র্যাক্টর টলি থেকে বালি আপলোড করতে হবে । আর সেই কাজের জন্য রামনুনুকে টাকা দেওয়া হবে। তারপরই বরখান্ত হওয়া ড্রাইভার অনিতা দেবীর বাড়িতে আসেন। সেই সময়ই অনিতাদের সাঙ্গপাঙ্গরা ড্রাইভারকে পিটিয়ে হত্যা করে। তার আগে অবশ্য মেয়েকে নিজের হাতে হত্যা করেছিলেন অনিতা দেবী।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে খুনের কথা স্বীকার করেননি অনিতা দেবী। তিনি বলেছিলেন মেয়ে আর ড্রাইভার তাঁর বাড়ি থেকে অনেক দিন আগেই চলে গেছে। দম্পতির সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। আর সেই কারণে তাদের বিষয় তিনি বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য কিছুই জানেন না। এই ঘটনার পরই সমস্ত দায় অস্বীকার করেন।
কিন্তু জোড়া খুনের কারণে স্থানীয় বসিন্দারা ক্রমশই ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন অনিতা দেবী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। আর তারপরই অনিতা দেবী ও তাঁর স্বামী থানায় গিয়ে জোড়া খুনের কারণে আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এই আধুনিক যুগেও যে পরিবারের সম্মান রক্ষার্থা মা নিজের মেয়েকে হত্যা করতে পারে - তা এখনও অনেকটাই অস্বাভাবিক লাগছে। যদিও অনিতা দেবীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
মানুষ আর ঠিক কতটা নির্মম হবে? রক্তাক্ত কিশোরী হাসপাতালে না দিয়ে তার ভিডিও করতেই ব্যস্ত জনতা
মকর সংক্রান্তির দিন রামলালার মূর্তি স্থাপন হবে অযোধ্যায়, ভক্তরা দর্শন পাবেন ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে