সংক্ষিপ্ত

দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ইচ্ছেমৃত্যুর অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখলেন উত্তর প্রদেশের ৩০ বছরের মহিলা। স্বামী, স্বামীর বন্ধু ও সৎছেলে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে তাঁকে। 
 

কয়েক মাস ধরে নিজের স্বামী, সৎ ছেলে আর স্বামীর বন্ধুরা লাগাতার ধর্ষণ করে যাচ্ছিল। আর সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের মহিলা রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হলেন। 'ইচ্ছেমৃত্যু' বা  'নিষ্কৃতীমৃত্যু'র আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লেখেন পিলভিটের বাসিন্দা। 

ইচ্ছেমৃত্যুর অনুমতি চেয়ে চিঠি-
উত্তর প্রদেশের পিলভিটের বাসিন্দা। বয়স ৩০ বছর। তিনি রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে লিখেছেন, ন্যায়বিচারের সমস্ত আশা তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। স্বামী, স্বামীর বন্ধু, সৎপুত্রেদর বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ৯ অক্টোবরের পরে এখনও পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ কার্যকর করেনি পুরাণপুর কোতোয়ালি থানা। সেখানে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। তিনি চিঠিতে আরও বলেছেন, পুলিশ ইচ্ছেকৃতভাবেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাঁর আরও অভিযোগ স্বামী থেকে শুরু করে সৎছেলে সকলেই তাঁকে বারবার মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে। জীবন বিপন্ন। একরাশ আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে রয়েছেন তিনি। তাঁকে যে বারবার ধর্ষণ ও অপরব্যবহার করা হয়েছে সেই বিষয়েও চুপ থাকতে নির্দেশ দিয়েছে অভিযুক্তরা। মহিলা আরও জানিয়েছেন বেঁচে থাকার জন্য তিনি অনেক সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু বিচার পাওয়ার আশা আর নেই। আর সেই কারণেই ইচ্ছেমৃত্যুর জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেয়ে তিনি চিঠি লিখেছেন। 


অবধৈ সম্পর্ক স্থাপনে জোর- 
মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর সৎছেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোর করে তাঁর সঙ্গে এপ্রিল মাসে যোগাযোগ করেছিল। তারপর থেকেই মহিলা বারবার যৌন নির্যাতনের শিকার বলেও জানিয়েছেন। ছেলে তাকে একাধিকবার হুমকি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন সৎছেলের যৌন নির্যাতনের কারণেই মহিলা গর্ভাবতী হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ছেলে পিতৃত্ব শিকার করেনি। পেটে লাথি মারে। তারপর বেসরকারি হাসপাতালে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়। 

স্বামী ও তার বন্ধুরা ধর্ষণ করে
নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন গত ১৮ জুলাই মাসে স্বামী ও তাঁর বন্ধুরা একটি খাবারবাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। সেখানে এক আত্মীয়ও এই দুষ্কর্মে সামিল হয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও তিনি বিচার পাননি বলে জানিয়েছেন। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ তাঁর। 

মহিলার বর্তমান অবস্থা
মহিলার আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল। বিচ্ছেদ হওযার পরে তিনি আবারও বিয়ে করেন। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা প্রথম স্বামীর সন্তান, দুই ভাই আর মায়ের সঙ্গে বেরেলিতে থাকেন। 

পুলিশের বক্তব্য
এদিকে, পুলিশ সুপার, দীনেশ কুমার প্রভু বলেছেন, "এটি তথ্য ও প্রমাণের স্তর সহ একটি জটিল মামলা। আমরা একটি সুষ্ঠু তদন্ত করছি এবং এটি শীঘ্রই শেষ হবে। তারপরে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

২১এর আগেই বিয়ে হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গে ও ঝাড়খণ্ডের মেয়েদের, কেন্দ্রীয় রিপোর্ট মানতে নারাজ রাজ্য
৩১ বছরের স্বাস্থ্যকর্মীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করল ১৭-র নাবালক, দুষ্কৃতীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি
মহিলাকে কানের গোড়ার সজোরে চড়, কর্নাটকের মন্ত্রীর নিন্দায় সরব নেটদুনিয়া- দেখুন ভিডিওটি