সংক্ষিপ্ত

স্থানীয় লোকজনের মতে, কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়া অদিতি সিং এই আসনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হবেন। যদিও সকলের নজর এখন ভোটের ফলের দিকেই। 


উত্তরপ্রদেশে বেজে উঠেছে নির্বাচনী কাঁসর (UP Assembly Elections 2022)। আপাতত কেটে গেছে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। অর্থাৎ বলা যেতে পারে, এই পরিস্থিতি প্রায় মাঝ অবস্থায় রয়েছে রণক্ষেত্র। আর এই মাঝ রণক্ষেত্রে রায়বেরলি সদর বিধানসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির জয় দৃশ্যমান। স্থানীয় লোকজনের মতে, কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়া অদিতি সিং (BJP leader Aditi Singh) এই আসনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হবেন। এছাড়াও, রায়বেরেলি স্থানীয় মহিলারা বলছেন যে, কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে আসা অদিতি যখন পাঁচ বছরের জন্য বিধায়ক ছিলেন এবং সেই সময়ই নিজের রাজনৈতিক জীবনকে অন্য রূপ দিতে মানুষের সঙ্গে

জনসংযোগ করতে শুরু করেন তিনি। এই সময়কালে মহিলাদের মধ্যে তাঁর ভাবমুর্তির উন্নতি ঘটে। আর সেই ভাবমূর্তিকেই এবারের নির্বাচনে ব্রহ্মাস্ত্র করতে চলেছেন অদিতি। 
তবে রায়বেরেলি চিরকালই গান্ধী পরিবারের একটি শক্ত ঘাঁটি। প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় ধরেই রায়বেরলি প্রাসাদকে নিজের হাতের মুঠোয় করে রেখেছে গান্ধী পরিবার। এই বিধানসভা কেন্দ্রে একটি সম্প্রদায়ই রাজত্ব করে থাকে তা হল ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়। প্রসঙ্গত, রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন এখনও নির্ভর করে প্রার্থী এবং দলের সম্প্রদায়ের উপর। এখানে একটি দল চায় ৮০ শতাংশ, আবার অন্য দলের দাবি লঘু ২০ শতাংশ। এই রায়বেরেলি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট তিন লক্ষ ভোটার রয়েছেন। আর উত্তরপ্রদেশের রাজপুত গোষ্ঠীর আসনে মধ্যে এটি উল্লেখ্যযোগ্য। তবে ক্ষত্রিয়, ঠাকুরদের পাশাপাশি ব্রাহ্মণ ও অনগ্রসর শ্রেণীও এখানে নির্বাচনী ফলাফল নির্ধারণে একটি নির্ধারকের ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি, এ আসনে দলিত ও মুসলিম ভোটারও রয়েছে বেশ কয়েকজন। 
তবে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এবারের নির্বাচনে বাজিমাত করতে পারেন অদিতি সিং। আর এর প্রধান দু’টি কারণ হল, তাঁর বাবার সময় ধরে চলে আসে ভোট ব্যাঙ্ক। দুই মহিলাদের মধ্যে তাঁর প্রভাব। রায়বেরেলি আসনে তিনি তাঁর বাবা আধিপত্যের সুবিধা পেতে পারেন। আর যার জেরে মধুর ছিটে ফোঁটা পেয়ে যাবে বিজেপিও। নির্বাচনের ময়দানে প্রয়োজন প্রতিশ্রুতি। তা আপনি পূরণ করুন কিংবা না করুন। নির্বাচনী রণক্ষেত্রে নেমে এই প্রতিশ্রুতিকেই মূল হাতিয়ার বানাতে হয় নেতা-নেত্রীদের। তাই এই পুরানো প্রথা থেকে নিজেকে হটাতে পারেনি অদিতিও। মানুষের মন জয়ের রাস্তা মসৃণ করেছেন প্রতিশ্রুতি দিয়েই। এদিন তিনি বলেন, এলাকায় উন্নয়ন করেছি, জিতলে ফের উন্নয়নের পথেই হাঁটবো। এছাড়াও, অদিতির প্রতি এলাকার মানুষও বেশ দুর্বল। অনেকের দাবি, পরিবারের সুখ-দুঃখে নাকি সেই ছিল। 

আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, কবে শুরু হচ্ছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি

আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে এবারের বাজেট, দাবি মোদীর

এই সরগরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আগুনের উত্তাপ যে দিল্লির সাউথ ব্লক, মান সিং রোডের সাদা বাড়িটিতে পৌঁছেছে এই নিয়ে কোনও রকম সন্দেহ নেই। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ গান্ধী পরিবারের পুরাতন ঘাঁটিকে জান-প্রাণ লাগিয়ে ধরে রাখা। যেন-তেন প্রকারে রায়বেরেলি দুর্গকে ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস। এই পরিস্থিতি সঠিক পদক্ষেপের উপর নির্ভর করবে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে দেশের প্রাচীন দলের ভবিষ্যৎ।

আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের

আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার