সংক্ষিপ্ত
- মিডডে মিলে দেওয়া হচ্ছিল শুধু রুটি আর নুন
- উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক সরকারি বিদ্যালয়ের ঘটনা
- এরই ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন সাংবাদিক পবন জয়সওয়াল
- তদন্ত করে তাকেই দোষী বলল যোগী প্রশাসন
এক সপ্তাহ আগেই মির্জাপুর জেলার এক সরকারি স্কুলে মিডডে মিলে শিশুদের শুধু নুন আর রুটি দেওয়ার খবর ও ভিডিও ফাঁস করেছিলেন সাংবাদিক পবন জয়সওয়াল। এবার তাঁকেই গ্রেফতার করল যোগী প্রশাসন। শুধু তাঁকে নয়, ওই গ্রামের এক বাসিন্দা রাজকুমার পালের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে। সরকারী কর্মচারীদের কাজে বাধা দেওয়া, মিথ্যা প্রমাণ দাখিল করা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জালিয়াতির মতো অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঘটনাটি মির্জাপুর জেলার শিউরের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে মিডডে মিল হিসেবে সেই স্কুলে শিশুদের নুন আর রুটি দেওয়ার হচ্ছে। অনেকটা পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুরার এক বালিকা বিদ্যালয়ে যেইরকম শিশুদের নুন আর ভাত দেওয়া হচ্ছিল, সেইরকম। বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় চুঁচুরার ওই ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছিলেন।
শিউর স্কুলের ওই ভিডিও ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। এরপরই সেখানকার ডিএম তদন্তের নির্দেশ দেন। সাসপেন্ড করা হয় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। বেসিক শিক্ষা অধিকারীর কাছেও ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এরপরই ঘটন কানে যায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। তিনি ঘটনার কড়া তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপরই নাকি তদন্তে বেরিয়েছে, ভিডিওটি ওই সাংবাদিকের বানানো।
ডিএম-এর দাবি, মিডডে মিলের অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট টাকা রয়েছে। রাজকুমার পাল নামে গ্রামের এক ব্যক্তি ওই গ্রামের প্রধানের প্রতিনিধি হিসেবে মিডডে মিল ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে কিনা তার দেখাশোনা করেন। তিনিই নাকি সাংবাদিক পবন জয়সওয়ালকে ডেকে এনে ওই 'সাজানো ভিডিও' বানিয়েছিলেন।
তবে অনেকেই মনে করছেন খবর করে ওই সাংবাদিক যোগী আদিত্যনাথের রোষে পড়েছেন। তাঁরা বলছেন গোরক্ষপুরের ডাক্তার কাফিল খানের কথা। প্রবল অক্সিজেন সংকটের সময় তিনি, নিজের প্রচেষ্টায় বাইরে থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার আনিয়ে বেশ কয়েকজন শিশুর প্রাণরক্ষা করেছিলেন। কিন্তু পরে তাঁকে এই মানবিক কর্তব্য পালনের মাশুল দিতে হয়। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ডাক্তার কাফিল খানকে গ্রেফতার করা হয়। সেই অভিযোগ যদিও আজও প্রমাণিত হয়নি। ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছেন।