সংক্ষিপ্ত
বড়দিনে প্রার্থনার নাম করে করা হচ্ছিলো জোর করে ধর্মান্তকরণ। ঘটনার কথা জানতে পেরেই সেই স্থানে হামলা চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা।
বড়দিনে প্রার্থনার নাম করে করা হচ্ছিলো জোর করে ধর্মান্তকরণ। ঘটনার কথা জানতে পেরেই সেই স্থানে হামলা চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে। উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুন থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তরকাশী জেলার ছোট্ট গ্রাম পুরোলাতে এক ইউনিয়ন চার্চে প্রার্থনার নাম করে ধর্মান্তকরণ করছিলেন চার্চের দুই সদস্য পাস্তুর ল্যাজারাস কর্নেলিয়াস ও তাঁর স্ত্রী সুষমা কর্নেলিয়াস। খবর পেয়েই সেখানে আচমকা পৌঁছয় জানা তিরিশেক লোক। তারা লাঠি , ধারাল অস্ত্র নিয়ে প্রার্থনাসভায় হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে চার্চ কর্তৃপক্ষ খবর দেয় পুলিশে। এরপর পুলিশ এসে সামাল দেয় পরিস্থিতি।
এই ঘটনায় চার্চ থেকে আটক করা হয়েছে কর্নেলিয়াস দম্পতি সহ মোট ৬ জনকে। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়া হয়েছে। এর থেকে বেশি কোনও তথ্য দিতে চায়নি পুলিশ।প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য উত্তরাখণ্ড সরকার শুক্রবার বিধানসভায় ধর্মীয় স্বাধীনতা সংশোধনী আইন পাশ করিয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেলের পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা যাবে। সেই সঙ্গে তাকে জরিমানা করা হবে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, দোষ প্রমাণিত হলে যাদের ধর্ম বদলের চেষ্টা করা হচ্ছিল, তাদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। এই আইনের বাস্তবায়ন করা হলো রবিবার।