সংক্ষিপ্ত

প্রেমিকাকে ধাক্কা মেরে বহুতল থেকে ফেলে খুন করার পর প্রেমিক পলাতক ছিল। খুন প্রেমিক পলাতক ছিল। শুক্রবার এনকাউন্টারে জখম হয় প্রেমিক।

 

ঝগড়াঝাটির কারণে দিন কয়েক আগেই বান্ধবীকে ধাক্কা মেরে বহুথেকে থেকে ফেলে দিয়েছিল এক প্রেমিক। শুক্রবার সেই প্রেমিকই পুলিশের এনকাউন্টারে রীতিমত জখম হয়ে হাসপাতালে শয্যাসায়ী। পুলিশ সূত্রের খবর আক্রান্তের পায়ে গুলি লেগেছে।

মহম্মদ সুফিয়ান নামের ওই যুবক দিন কয়েক আগেই নিধি গুপ্তা নামের এক তরুনীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। নিধির পরিবারের অভিযোগ সুফিয়ান ও নিধির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা বিয়ে করবে বলেও ঠিক করেছিল। কিন্তু বিয়ের জন্য সুফিয়ান নিধিকে ধর্মান্তরিত করতে চেয়েছিল। আর সেই কারণে নিধির ওপর জোর খাটাচ্ছিল। তাতে দম্পতির সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। কিন্তু রাগের বশবর্তী হয়ে সুফিয়ান নিধিকে বহুতল থেকে ধাক্কা দিয়ে হত্যা করিছেল বলে অভিযোগ।

নিধিকে হত্যার পর থেকেই সুফিয়ান এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সুফিয়ান কয়েক দিন ধরেই পলাতক ছিল। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। তাকে ধরতেই এনকাউন্টারে নেমে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। এনকাউন্টারের সময় পুলিশ সুফিয়ানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাতেই জখম হয় সে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। তবে সুফিয়ানকে ধরতে উত্তর প্রদেশ পুলিশ ৯ সদস্যের একটি দল তৈরি করেছিল। সুফিয়ানের তথ্য দেওয়ার জন্য ২৫ হাজার নগদ টাকা পুরষ্কার হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এদিন আঁটঘাট বেঁধেই সুফিয়ানকে ধরতে নেমেছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ।

যাইহোক, সুফিয়ানের বিরুদ্ধে হত্যার পাশাপাশি বেআইনি ধর্মান্তকরণের মামলাও শুরু হয়েছে। পুলিশের দাবি নিধির পরিবারের অভিযোগ ছিল সুফিয়ান তাদের বেশ কিছু দিন ধরে হয়রান করেছিল। প্রেমের ফাঁদ পেটে অযথা হেনস্থা করছিল। নিধি ও তার গোটা পরিবারকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য জোর দিচ্ছিল।

উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, সুফিয়ান নির্যাতিতার সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব করেছিল। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তাদের সম্পর্ক ছিল। ১৭ বছরের নিধিকে একটি মোবাইল ফোনও উপহার দিয়েছিল সুফিয়ান। মঙ্গলবার মেয়েটির পরিবার সুফিয়ান সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়েটি সুফিনের বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু সেখানে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি শুরু হয়ে যায়। সুফিয়ান আর নিধির মধ্যেই তর্কাতর্কি হয়। সেই সময়ই নিধি তড়তড়িয়ে ওপরে উঠে যায়। তখন সুফিয়ানও ওপরে ওঠে। সেই সময়ই চার তলা থেকে নিধিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। মেয়েটি পড়ে গেলে পরিবারের সদস্যরা চিৎকার শুনতে পায়। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে নিধিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর থেকেই পলাতক ছিল সুফিয়ান।

আরও পড়ুনঃ

বাংলাদেশের 'আফতাব' আবু বক্কর, শ্রদ্ধার মত সেও তার প্রেমিকাকে খুন করে টুকরো করেছিল দেহ

বাংলাদেশের আমির-ফতেমার প্রেম কাহিনি, মনে করিয়ে দিল দিলওয়ালে দুলহনিয়ার রাজ আর সিমরানকে

শ্রদ্ধাকে নিথর শরীরের পাশে বসে রাতভোর গাঁজা খেয়েছিল আফতাব, জেরায় কবুল হত্যাকারীর