সংক্ষিপ্ত

শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ছায়া গাজিয়াবাদে। পিএইচডি ছাত্রকে হত্যা করে তিনটি আলাদা স্থানে ফেলে দিল বাড়ির মালিক। হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট দেখে বন্ধুদের সন্দেহ। তদন্তের জট খুলল পুলিশ।

দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ছায়া গাজিয়াবাদে। নিখোঁজ রহস্যের তদন্তে নেমে প্রায় দুই মাস পরে পুলিশ জট ছাড়াতে পারল। পিএইচডির ছাত্র অঙ্কিতকে খুনের অভিযোগে বুধবার উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থানার পুলিশ উমেশ শর্মা নামে এক বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করেছে। দীর্ঘ জেরায় উমেশ শর্মা জানিয়েছে, অঙ্কিতকে হত্যা করে তাঁক দেহ টুকটো টুকটো করে তিনটি আলাদা আলাদা জায়গায় ফেলে দিয়েছে। পিএইডটি ছাত্রকে খুনের অভিযোগে উমেশকে সাহায্য করেছিল- এই অনুমান করে পুলিশ পারভেশ নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে পারভেশ উমেশের বন্ধু।

গাজিয়াবাদ পুলিশ জানিয়েছে, অঙ্কিত বাগপতে নিজের পৈত্রিক বাড়ি বিক্রি করে ১ কোটে টাকা পেয়েছিল। সেই টাকার দিকেই নজর ছিল উমেশের। ব্যবসা করার নাম করে সে অঙ্কিতের থেকে ৪০ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও উচ্চবাচ্চা করে না। যা দেখে সন্দেহ হয় অঙ্কিতের। অঙ্কিত উমেশের বাড়িতে বেশ কয়েক বছর ঘরেই ভাড়া থাকত। তাই বিশ্বাস করেই ব্যবসার জন্য টাকা দিয়েছিল। কিন্তু টাকা ফেরত দিতে না চাওয়ায় উমেশ অঙ্কিতকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। মাস দুয়েক আগে সে প্রথম অঙ্কিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর পারভেশের সাহায্যে একটি করাত দিয়ে অঙ্কিতের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে। একটি অংশ মাজাফ্ফরনগের খাতৌলি খালে, অরেকটি অংশ মুসৌরি খালে ও আর একটি অংশ এক্সপ্রেসওয়তে ফেলে দিয়েছিল।

অঙ্কিতের খবর না পেয়ে অঙ্কিতের লক্ষ্মৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। যারা ওয়াটসঅ্যাপে অঙ্কিতকে টেক্টস করতে থাকে। এই দেখে উমেশ রীতিমত ভয় পেয়ে যায়। সেই অঙ্কিতের ফোনটি ব্যবহার করতে শুরু করে। অঙ্কিতের নাম করে ম্যাসেজ করে। তাতে বন্ধুতা রীতিমত চমকে যায়। বন্ধুদের কথায় অঙ্কিত কখনই কাউকে তুই বলে সম্বোধন করত না। সকলেই আপনি বলত। কিন্তু এটি উমেশ জানত না। সে সকলেই তুই বলে ম্যাসেজ করেছিল। তাতেই বন্ধুদের সন্দেহ হয়। তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

অঙ্কিতকে খুঁজে বার করতে শুরু হয় তদন্ত। ধীরে ধীরে জট খুলতে পারে পুলিশ। গাজিয়াবাদ পুলিশ জানিয়েছে অঙ্কিত লক্ষ্মৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইডির ছাত্র। তার বন্ধুরাই প্রথম দ্বারস্থ হয় পুলিশের কাছে। তবে পাল্টা উমেশও তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। অঙ্কিতের এটিএম কার্ড আর পিন এক বন্ধু প্রবেশকে দিয়েছিল। অঙ্কিতের মোবাইল ফোনও দিয়েছিল। তাকে নির্দেশ দিয়েছিল সেখান থেকে টাকা তুলতে। যাতে পুলিশের মনে হয় অঙ্কিত উত্তরাখণ্ডে রয়েছে। সেখান থেকে প্রবেশ ২০ লক্ষ টাকা তুলেছিল। যাইহোক শেষ পর্যন্ত পুলিশ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখেই উমেশকে পাকড়াও করে। জেরায় উমেশ খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

নেশার জন্য মাত্র ১০ টাকা নিয়ে বচসা! তাতে বন্ধুর হাতে খুন হল বন্ধু

দিল্লিতে অ্যাসিড হামলায় গ্রেফতার তিন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে আর্জি রাসায়নিক ব্যবসায়ীদের

'দীপিকা পোশাক ঠিক করুন...' পাঠান ছবির গান রিলিজের পরেই অভিনেত্রীর সঙ্গে শাহরুখকে হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর