সংক্ষিপ্ত

আবারও নারী নির্যাতনের মত নির্মম ঘটনা ঘটল উত্তর প্রদেশে। এবাল লাখিমপুর খেরি থেকে উদ্ধার দুই দলিত বোনের নিথর দেহ। গাছে ঝোলান অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দুটি দেহ। নিহতদের পরিবারের দাবি খুন করে হত্যা করা হয়েছে দুই বোনকে


আবারও নারী নির্যাতনের মত নির্মম ঘটনা ঘটল উত্তর প্রদেশে। এবাল লাখিমপুর খেরি থেকে উদ্ধার দুই দলিত বোনের নিথর দেহ। গাছে ঝোলান অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দুটি দেহ। নিহতদের পরিবারের দাবি খুন করে হত্যা করা হয়েছে দুই বোনকে। পুলিশ দুটি মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। নির্যাতিতা মা জানিয়েছেন,তাই দুই মেয়েকেই একটি মোটরসইকেল করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাখিমপুর খেরি এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার খবর পেয়েছেই নিঘাসন থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠান হয়েছে।  গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।

লক্ষ্মৌ রেঞ্জের পুলিশ অফিসার লক্ষ্মী সিং জানিয়েছেন, দুটি কিশোরীকেই তাদের দোপাট্টা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে ঝুলানো অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ। শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। পোস্টমর্টেমের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ , বয়ান অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেইমতই তদন্ত হবে। 

লাখিমপুর খেরি হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের এলাকা। কৃষক আন্দোলেনর সময় এখানেই কৃষকদের গাড়ির ধাক্কায় হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে। যাইহোক দুই দলিত কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে রীতিমত সরগরম রাজ্যরাজনীতি। বিরোধী নেতা তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব উত্তর প্রদেশ সরকারের সমালোচনা করেছে। আর রাজ্য মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে নিশানা করেছে। 

অখিলেশ টুইট করে বলেছেন, যোগী সরকারের গুণ্ডারা প্রতিদিন মা ও বোনেদের হয়রানি করছে- এটা খুবই লজ্জাজনক। সরকারের উচিৎ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা ও দোষীদের শাস্তি দেওয়া। এই ঘটনা হাথরাসের কথা মনে করিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর চার উচ্চবর্নের যুবক ১৯ বছরের দলিত এক মহিলাকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেছিল। নির্যাতিতা মহিলা দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মারাযায়। কিন্তু তারপর মহিলার দেহ জোর করেই দাহ করেছিল যোগী সরকারের পুলিশ। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল যোগী সরকারের পুলিশকে। 

দুই দলিত বোনের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুই বোনের মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে রাজ্য আইন শৃঙ্খলার কোনও উন্নয়ন হয়নি। যোগী সরকার মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তাদের মায়ের অভিযোগ দিনের বেলাতেই দুই বোনকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। 

হাথরসকাণ্ড ভয়ঙ্কর আর বিরল ঘটনা, সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন যোগী সরকারের জন্য

হাথরসের নির্যাতিতা তার 'বন্ধু', মূল অভিযুক্তের চিঠিতে অশনি সংকেত দেখছে নিহতের পরিবার
হাথরসের সঙ্গে বাংলার যোগ ১৩২ বছর আগে, সেখান থেকেই বিবেকানন্দ পেয়েছিলেন 'অমূল্য রতন'