সংক্ষিপ্ত
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন বারাণসীর জেলা শাসক স্থানীয় সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীদের না জানিয়ে ইভিএম নিয়ে গেছেন। প্রার্থীদের না জানিয়ে ইভিএম নিয়ে চলে যাওয়া আইনতন দণ্ডনীয় অপরাধ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ভোট শেষ, ফল প্রকাশের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে উত্তর প্রদেশ (UP Elections 2022)। কিন্তু এখনও যুযুধান উত্তর প্রদেশের বিজেপির (BJP) প্রধান প্রতিপক্ষ সমাজবাদী পার্টির নেতী অখিলেশ যাদব (SP chief Akhilesh Yadav) । ভোটের ফল প্রকাশের মাত্র দুই দিন আগেই ভোট যন্ত্র বা ইভিএম (EVM) চুরির অভিযোগ করেন তিনি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বসে তিনি বলেন, বারাণসীর (Varanasi) একাধিক কেন্দ্র থেকে যখন ইভিএম নিয়ে যাওয়ার হয় তখন তাদের জানান হয়নি। এটি চুরি ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি আরও বলেন, 'আমাদের ভোট আমাদেরই বাঁচাতে হবে।' প্রয়োজনে আদালতেও যেতে হতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেছেন দলীয় কর্মীদের। তিনি আরও বলেন, তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। সেই কারণে গণতন্ত্র বাঁচাতে রাজ্যের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও জানিয়েছেন অখিলেশ।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন বারাণসীর জেলা শাসক স্থানীয় সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীদের না জানিয়ে ইভিএম নিয়ে গেছেন। প্রার্থীদের না জানিয়ে ইভিএম নিয়ে চলে যাওয়া আইনতন দণ্ডনীয় অপরাধ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে খতিয়ে দেখার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন সাংবাদি বৈঠকে অখিলেশ যাদব এক্সিট পোল নিয়ে বিজেপির মন্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এক্সিট পোল দেখে বিজেপি এমন করছে তাতে মনে হচ্ছে বিজেপি যেন জিতে গেছে। কিন্তু ফল প্রকাশের পরই জানা যাবে কার দখলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য থাকবে উত্তর প্রদেশ। বিজেপি দাবি করছে উত্তর প্রদেশ ৩০০রও বেশি আসনে জিতবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তা এখনই মানতে রাজি নন অখিলেশ। তিনি আরও বলেন রাজ্যে গণতন্ত্র বাঁচানোর এটাই শেষ লড়াই। তাই এখনই হার মানবেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করার আর্জি জানিয়েছেন দলীয় কর্মীদের কাছে।
উত্তর প্রদেশের সাত দফা নির্বাচন শেষ হয়েছে গতকাল। সোমবারই ভোট গ্রহণ হয় বারাণসীতে। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র। এই বারাণসী লোকসভার অন্তর্গত পাঁচটি বিধানসভা রয়েছে। এই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র জয়ের লক্ষ্য মরিয়া বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই এলাকার প্রচারে জোর দিয়েছিলেন।
শেষ বা সপ্তম দফা নির্বাচনের আগে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Vishwanath Temple) ছিল রাজ্যরাজনীতির কেন্দ্র বিন্দু। ভোট টানতে বিশ্বনাথধামের ওপরই ভরসা রেখেছেন পক্ষ-বিপক্ষ সব দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার কাশী মন্দিরে ষোড়শউপাচারে পুজো করেন। মোদীর কয়েক ঘণ্টা আগে মন্দিরে গিয়েছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। তাঁরাও নিষ্ঠাভরে পুজো করেন। তারও আগে মন্দিরে গিয়েছিল স্মৃতি ইরানি। শুক্রবার কাশীতেই একটি রোডশোয়ে অংশ নিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। তিনিও একই দিনে মন্দিরে পুজো দেন। যদিও অখিলেশ কাশীর মন্দিরে গিয়েছিলেন শুক্রবার রাতে।
রাতের অন্ধকারে রাশিয়ার হামলা ইউক্রেনে, ৫০০ কিলো বোমা প্রাণ নিল ২ শিশুসহ ১৮ জনের
রাশিয়ার যুদ্ধের প্রতীক কি 'Z', সোশ্যাল মিডিয়ায় পুতিনের তুলনা হিটলারের সঙ্গে
ভারত-রুশ সম্পর্কে মার্কিন নজর, রাশিয়ার মতই নিষেধাজ্ঞার ফল ভুগতে হবে কি ভারতকে