সংক্ষিপ্ত
ভোটের আবহে কোনও ভুল যাতে না হয় সেদিকে প্রতিনিয়ত নজর রাখছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এমতাবস্থায় সরকারি আয়ের থেকে বাড়তি সম্পদের মালিক এমন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিবরণ চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপে ফুটছে গোটা রাজ্যে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই সতর্ক হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ভোটের আবহে কোনও ভুল যাতে না হয় সেদিকে সরকার প্রতিনিয়ত নজর রাখছে। এমতাবস্থায় সরকারি আয়ের থেকে বাড়তি সম্পদের মালিক এমন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিবরণ চেয়েছে। সবাই ইটিআর পূরণ করলেও, সম্পূর্ণ বিবরণ জানতে চেয়ে একটি প্রফর্মা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, গত তিন বছরে যারা আয়ের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করেছেন এবং যারা জমি কিনেছেন তাদের আলাদা তালিকা তৈরি করে তদন্ত করতে হবে। ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে এই নতুন নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হচ্ছে নানা জল্পনা।
সূত্রের খবর সরকারের সব থেকে বেশি নজর রয়েছে শিক্ষা বিভাগ ও রাজস্ব বিভাগের কর্মচারীদের ওপর। এই রাজ্যে শিক্ষা দফতরের কর্মচারীদের নিয়েই সবথেকে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ আসে বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও শিক্ষা, রাজস্ব, পৌরসভা, আরটিও, আবগারি সহ কয়েক ডজন দফতরের কর্মচারীদের জেলা স্তরে তালিকাভুক্ত করে তদন্ত চালানো হয়েছিল।তদন্তও হয়েছে কিন্তু রিপোর্ট আসেনি।
এই প্রসঙ্গে কর্মকর্তারা বলছেন, আগে এ ধরনের আরও মামলা সামনে আসত, এখন সবকিছু এতটাই অনলাইনে হয়েছে যে কোনো কেসই আর গোপন থাকে না। এখন সবকিছু সবাই দেখতে পায়। ফলে এখন আপনি যদি জমিও কেনেন, তাই আপনি যদি এই সময় জমি কেনেন তবে অবশ্যই আপনি নজরদারির আওতায় থাকবেন। আয়কর বিজ্ঞপ্তি এখন রুটিন মাফিক আসে।তাই এখন সবাই সতর্ক। তাই যারা এরপরেও কর ফাঁকির জন্য সম্পত্তির আসল পরিমাণ লুকাতে চান তারা সমস্ত ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করেন যাতে কাগজে তা ধরা না পড়ে। যদিও এই বিষয়ে অনেক তথ্যই আছে সরকারের কাছে।
আরো পড়ুন- উত্তরপ্রদেশেও 'খেলা হবে', বল হাতেই বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ মমতার
এই প্রসঙ্গে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো কর্মচারীর বিষয়ে অভিযোগ এলে তা দ্রুত তদন্ত করে দেখা হয়। তদন্ত করা হয় অভিযুক্তের জীবনযাত্রার মান, দামি গাড়িতে চলা বা বহুতল ভবনে বসবাস ইত্যাদির ভিত্তিতে। একই বছরে কেউ দুই-তিনটি ফ্ল্যাট কিনে থাকলে রেজিস্ট্রির ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়। তবে কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য এখন অনেক নতুন রাস্তা বেরিয়ে গিয়েছে। সেজন্য এখন ধরা পড়া খুব কঠিন। তবে ধরা যে পড়ে না তা একেবারেই নয়। এদিকে বর্তমানে সরকারের এই আদেশের পর ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সরকারি কর্মচারি মহলে। কেউ কেউ বলছেন এই সব নতুন নয়। সবসময়ই হয়। সরকারি প্রশাসনও এ বিষয়ে অজ্ঞ নয়।
আরো পড়ুন- বাংলার মতো উত্তরপ্রদেশেও হারবে বিজেপি, অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়ে যোগী ব্রিগেডকে আক্রমণ মমতার