সংক্ষিপ্ত

  •  অযোধ্যায় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের জন্য জমি চিহ্ণিত করল উত্তরপ্রদেশ সরকার
  •  অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পঞ্চকোশি এলাকার বাইরে বিকল্প জমির ব্য়বস্থা
  •  সব মিলিয়ে পাঁচটি জমি চিহ্ণিত করেছে সরকার
  • এরমধ্য়ে থেকেই বেছে নিতে হবে মসজিদের জমি 

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অযোধ্যায় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের জন্য জমি চিহ্ণিত করল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পঞ্চকোশি এলাকার বাইরে এই বিকল্প জমির ব্য়বস্থা করা হয়েছে মসজিদের জন্য। সব মিলিয়ে পাঁচটি জমি চিহ্ণিত করেছে সরকার। 

মমতার ধরনা থেকে বাঙালির নোবেল, ২০১৯-এ বাংলার সেরা পনেরো ঘটনা

সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এখনও বিকল্প জমি নেবে কিনা ঠিক করেনি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিজেদের কাজ সেরে ফেলল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সূ্ত্রের খবর,এই পাঁচটি জমিগুলির মধ্যে যেকোনও একটি মসজিদের জন্য় বেছে নিতে পারবে বোর্ড। অযোধ্যায় বিশেষ পুজোর সময় মন্দিরকে কেন্দ্র করে ১৫ কিলোমিটারের মধ্য়ে বৃত্তাকার পথ পরিক্রমা করে থাকেন হিন্দু ভক্তরা। এই বৃত্তাকার ১৫ কিলোমিটার পথকেই পঞ্চকোশি বলা হয়। এই বিশেষ ক্ষেত্রের বাইরেই মুসলিমদের মসজিদের জন্য বিকল্প জমি চিহ্ণিত করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে কাটল আনন্দলোক জট, ফের খুলল হাসপাতাল

মূলত, অযোধ্যা নগরীর বাইরে হাইওয়ে ঘেষে বিকল্প জমির ব্য়বস্থা করেছে যোগীর প্রশাসন। এই প্লটগুলির মধ্যে অযোধ্যা-ফৈজাবাদ রোড, অযোধ্যা-বাসতি রোড, অযোধ্যা-সুলতানপুর রোড ও অযোধ্যা-গোরক্ষপুর রোডের ধারে জমি ধরা হয়েছে। পঞ্চকোশির মধ্য়ে মসজিদ হলে পরিক্রমায় সমস্য হতে পারে তাই এই নির্দিষ্ট জায়গার বাইরেই মসজিদের জমি বেছেছে ইউপি সরকার।

তুষারপাতের সম্ভাবনা দার্জিলিং-এ, বছর পড়লেই বর্ষা শুরু ঝমঝমিয়ে

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অযোধ্য়ার নির্ধারিত স্থানেই রামের মন্দির গড়া হবে। মসজিদের জন্য বিকল্প জমির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে সরকারকে। আগামী চার মাসের মধ্য়ে একটি ট্রাস্ট গড়ে মন্দির, মসজিদ গড়ার কাজ করতে বলা হয়েছে সরকারকে। অতীতে অযোধ্যা মামলার রায় মেন নিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। বোর্ডের তরফে প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই নিয়ে যা রায়  দেবে ,তা তারা মেনে নেবেন।

কিন্তু সম্প্রতি এই রায়ের বিরুদ্ধে ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। বোর্ডের তরফে বলা হয়, মসজিদের জায়গা কোনওদিনও বদলানো যায় না। এটা শরিয়ত বিরোধী। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের তৈরি হয়। এখন নতুন করে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এই বিকল্প জমি মেনে নেয় কিনা তা দেখার।