- Home
- India News
- ৬ বছরের মেয়েকে খুন করে উল্লাসে মাতল মা আর প্রেমিক, উত্তরপ্রদেশে হাড়হিম করা খুনের মোটিভ
৬ বছরের মেয়েকে খুন করে উল্লাসে মাতল মা আর প্রেমিক, উত্তরপ্রদেশে হাড়হিম করা খুনের মোটিভ
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে নিজের ৬ বছরের মেয়েকে খুন করতেও বাধল না মায়ের। হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী উত্তর প্রদেশের পুলিশ।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে নিজের ৬ বছরের মেয়েকে খুন করতেও বাধল না মায়ের। হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী উত্তর প্রদেশের পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর প্রেমিকের সঙ্গে সুখে সংসার পাততে 'পথের কাঁটা' স্বামীকে সরিয়ে দিতেই মেয়েকে খুন করেছিল মা ও তার প্রেমিক। মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বামীকে খুনি সাজিয়ে জেলে পোরা।
খুনের অভিযোগে নিহতের মা রোশনি খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে তার প্রেমিক উদিত জয়সওয়ালের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় বছর ৮ আগে রোশনির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শাহরুখ খানের। কিন্তু প্রথম থেকেই সংসারে মন ছিল না রোশনির। পার্টি করতে পছন্দ করত রোশনি।
একটি পার্টিতে রোশনির পরিচয় হয়েছিল উদিত জয়সোয়ালের সঙ্গে। তারপর দুজনে কাছাকাছি আসে। তৈরি হয় নতুন সম্পর্ক। রোশনি উদিতের সঙ্গে সংসার পাততে উৎসাহী হয়।
রোশনি বেশ কয়েক দিন ধরে শাহরুখ খানের বাড়িতে থাকত না। শাহরুখের সঙ্গে সম্পর্ক রাখত না। তবে একা নয়, রোশনি নিজের ৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে শাহরুখের বাড়ি ছেড়েছিল। একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেছিল। সেখানে অবাধ যাতায়াত ছিল উদিতের।
পুলিশ জানিয়েছে সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ রোশনি স্থানীয় থানায় ফোন করেছিল। জানিয়েছিল পারিবারিক বিবাদ হয়েছিল স্বামীর। সেই সময় তাদের ৬ বছরের মেয়েকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল স্বামী। পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে অনুরোধ করেছিল।
পুলিশ গিয়েছিল রোশ্নির ফ্ল্যাটে। সেখানে উদ্ধার হয়েছিল রোশনিদের ৬ বছরের মেয়ের নিথর দেহ। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। শাহরুখের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রুজু করে। কিন্তু লাস দেখেই পুলিশের সন্দেহ হয়েছিল।
তদন্ত এগোতেই পুলিশের সন্দেহ হয়। জেরা শুরু করে রোশনি ও প্রেমিক উদিতকে। তাতেই স্পষ্ট হয় যে রোশনির মেয়ের খুনি তার স্বামী শাহরুখ নয়। কারণ পুশিল যখন নিহত দেহ উদ্ধার করেছিল তখন দেহে পচন ধরতে শুরু করেছিল। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। দেহের একাংশে পোকাও ধরে গিয়েছিল। যা দেখেই পুলিশের সন্দেহ হয় খুনের ঘটনা নিয়ে।
পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশকে খবর দেওয়ার আনুমানিত ৩৬ ঘণ্টা আগেই খুন করা হয়েছিল ৬ বছরের শিশুকে। ময়না তদন্তের রিপর্টেই মৃত্যুর সময় দেওয়া হয়েছে পুলিশকে খবর দেওয়ার ৩৬ ঘণ্টা আগে।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেতেই তদন্তের মোড় ঘুরে যায়। রোশনি ও উদিতের বয়ানে অসংখ্য অসঙ্গতি দেখতে পাওয়া যায়। শুরু হয় দফায় দফায় জেরা।
জেরার মুখে ভেঙে পড়ে রেশনি খান। জানিয়ে দেয় সেই খুন করেছে তার ৬ বছরের মেয়েকে। জেরায় রোশনি জানায় মেয়ের মৃতদেহের সামনেই সে তার প্রেমিকের সঙ্গে উল্লাসে মেতেছিল। ওই ফ্ল্যাটে পার্টি করেছিল বলেও জানিয়েছে। জেরায় রোশনি জানিয়েছে সে-তার প্রেমিক উদিত মিলেই মেয়েকে খুন করেছিল। তারা যে একই ফ্ল্যাটে থাকত তাও জানিয়েছে পুলিশকে।
