সংক্ষিপ্ত

প্রতাপ সিং-এর অভিযোগ সম্প্রতি তিনি একটি প্যান কার্ড তৈরি করেছিলেন। গত ১৫ন মার্চ তেজ প্রকাশ উপাধ্যায়ের মালিকানাধীন বাকালপুরের জন সুবিধে কেন্দ্রে একটি প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন।

আয়কর দফতরের নোটিশ (Income Tax Notice) পেয়ে মাথায় হাত দিতে হল উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) রিকশাচলককে (Rickshaw Puller)। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে গত রবিবার উত্তর প্রদেশের এক রিকশাওয়ালা একটি নোটিশ পেয়েছেন। তাঁকে ৩ কোটি (3 Crore) টাকারও বেশি ট্যাক্সদিতে বলা হয়েছে। এই নোটিশ পাওয়ার পরই রীতিমত চিন্তুত রিকশা চালক। 

উত্তর প্রদেশের মথুরার অমর কলোনির বাসিন্দা প্রতাপ সিং। রিকশা চালিয়েই দিন গুজরান করেন তিনি। তিন কোটি টাকা আয়কর জমা দেওয়ার নোটিশ পাওয়ার পরই তিনি স্থানীয় হাইওয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছে। সেখানে তিনি জালিয়াতির অভিযোগও দায়ের করেছেন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করে পুরো বিষয়টিও জানিয়েছেন। 

Bangladesh: 'আমরা মুসলমানরা মূর্তি ভাঙার জন্যই জন্মাই', শুনুন বাংলাদেশী ইমামের হিন্দু বিদ্বেষের কথা

Pak Terrorist: পুঞ্চ এনকাউন্টারে নিহত পাক-জঙ্গি জিয়া মুস্তাফা, ২৪ কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার মাস্টারমাইন্ড

Mamata Banerjee: 'আগে আপনার রাজ্য দেখুন', শিলিগুড়ি থেকে ত্রিপুরা নিয়ে বিজেপিকে টার্গেট মমতার

প্রতাপ সিং-এর অভিযোগ সম্প্রতি তিনি একটি প্যান কার্ড তৈরি করেছিলেন। গত ১৫ন মার্চ তেজ প্রকাশ উপাধ্যায়ের মালিকানাধীন বাকালপুরের জন সুবিধে কেন্দ্রে একটি প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। কারণ ব্যাঙ্ক তাঁকে এই কার্ড জমা দিতে বলেছিল। কার্ড তৈরির জন্য তিনি একাধিক জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন। কিছুদিন পরে সঞ্জাই সিং নামে এক ব্যক্তি তাঁকে একটি প্যানকার্ডের রঙিন ফোটোকপি দেয়।

তারপরই রিকশাচালক জানিয়েছেন তিনি নিরক্ষর। তাই আসল আর নকল প্যান কার্ডের মধ্যে কোনও ফারাক বুঝতে পারেননি। সেই কিন্তু প্যান কার্ড পেতে তিনি তিন মাস একাধিক জায়গায় হন্যে হয়ে ঘুরেছেন। তাঁকে প্যান কার্ডের জন্য যে চরকিপাক খেতে হয়েছে তাও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই প্যানকার্ডের জন্যই যে তাঁকে এই ঝামেলায় পড়তে হয়েছে তাও অভিযোগ করে জানান তিনি। প্রতাপ সিংএর অভিযোগ আইটি কর্তারা তাঁকে যে নোটিশ পাঠিয়েছে সেখানে তাঁকে ৩ কোটি, ৪৭ লক্ষ, ৫৪ হাজার ৮৯৬ টাকা দিতে বলা হয়েছে। প্রতাপের অভিযোগ তাঁর প্যান কার্ড ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তি অসাধুভাবে ব্যবসা করেছে। তারই মাশুল গুণতে হচ্ছে তাঁকে। কারণ তাঁর নামে তিনি একটি জিএসটি নম্বরও পেয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৮-১৯ সালে সেই ব্যবসার টার্নওভার ছিল ৪৩ কোটি টাকারও বেশি। 

প্রতাপ সিং জানিয়েছেন স্থানীয় আইটি কর্তারা তাঁকে এফআইআর দায়ের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদেরও অনুমান কেউ তাঁর নাম ব্যবহার করে বেআইনিভাবে ব্যবসা করছে। স্থানীয় পুলিশ অবশ্য জানিয়েছেন প্রতাপের অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

YouTube video player