সংক্ষিপ্ত

  • সহপাঠীকে গুলি করে হত্যা 
  • উত্তর প্রদেশের স্কুলের ঘটনা
  • ক্লাসে বসাকে কেন্দ্র করে অশান্তি 
  • দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ 

বসার জায়গা নিয়ে মারামারি। দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা হয়। তারপরই এক বন্ধু অন্য বন্ধুতে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল। বুধবারের এই ঘটনা যে বৃহস্পতিবার রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবে তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার দশম শ্রেণির এক ছাত্র তার সহপাঠীকে গুলিকে হত্যা করে। এই  ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৪ বছরের দুই নাবালককে গ্রেফতার করেছে । করোনা সংক্রমণের কারণে বর্তমানে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হচ্ছে। বাকি সমস্ত ক্লাসের পডু়য়ারা অনলাইনে পড়াশুনা করেছে। সমস্ত পড়ুয়া যদি স্কুলে উপস্থিত থাকল তাহলে আরও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা।

উত্তর প্রদেশের বুন্দেলশহরের এক প্রবীণ পুশিল আধিকারিক জানিয়েছেন, বুধবারই ক্লাসে বসার জায়গা নিয়ে দুই সহপাঠীর মধ্যে বচসা হয়। অভিযুক্ত ছাত্র বাড়িতে গিয়ে তারা কাকার বন্দুক নিয়ে আসে স্কুলে। অভিযুক্তের কাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। বর্তমানে ছুটিতে তিনি বাড়িতে রয়েছেন। তাঁর বন্দুকটি চুরি করেই অভিযুক্ত ছাত্র স্কুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। রিভলবারটির লাইসেন্স রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্র ক্লাসে ঢুকেই তার সহপাঠীকে হত্যা। ক্লাসরুম থেকেই ছাত্রটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে । 

কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রস্তাবে সায়, বিধায়কের এই পদক্ষেপে প্রশ্নের মুখে বিজেপি ...

করোনাভাইরাস-জনতা কার্ফু-লকডাউন-নিউনর্মাল, ফিরে দেখা মহামারির এক বছরে ভারতের চালচিত্র ...

পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত ছাত্রের ব্যাগে  আরও একটি দেশী পিস্তল উদ্ধার করেছে। প্রথম পিরিওড শেষ হওয়ার পরেই এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত ছাত্রের দেহে তিনটি গুলি লেগেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। মাথা, বুক আর পেট রয়েছে গুলির ক্ষত। ক্লাসরুমে গুলি চালিয়ে অভিযুক্ত ছাত্র পালানোর ছক কষছিল। স্কুলের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে শূণ্যে গুলিও চালিয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকদের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত ছাত্র। স্কুল কর্তৃপক্ষই স্কুলে পুলিশ ডেকে আনে। মূল অভিযুক্ত ছাড়াও আরও এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল ছাত্রদের নিরাপত্তা নিয়ে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা পাশ্চাত্যে হামেশাই দেখা যায় পড়ুয়ারা বন্দুক,  পিস্তল নিয়ে চড়াও হচ্ছে স্কুলে। কিন্তু এই ঘটনা কিছুটা হলেও বিরল। যা নিয়ে এখন থেকেই সিদুরে মেঘ দেখছেন শিক্ষাবিদরা।