একাকীত্ব কাটানোর জন্য পূজা একটি বিড়াল পোষেন। বিড়ালটিকে দত্তক নেন। সেই বিড়ালটি বৃহস্পতিবার মারা যায়। পূজার মা মৃত বিড়ালকে করব দেওয়ার পরামর্শ দেয়।

নজির বলছে পশুপ্রেম! উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলার এক মহিলা নিজের পোষা বিড়ালের মৃত্যুর পর এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে দুই দিন মৃত বিড়ালের সঙ্গে কাটিয়ে শেষপর্যন্ত তৃতীয় দিনে আত্মহত্যা করেন। মৃত ৩২ বছরের পূজা আমরোহা জেলার হাসানপুরের বাসিন্দা ছিলেন। প্রায় আট বছর আগে পূজা দিল্লি এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। তবে মাত্র দুই বছরের মধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। তারপর থেকে তিনি তাঁর বাবার বাড়িতে চলে আসেন। থাকতেন মায়ের সঙ্গে।

একাকীত্ব কাটানোর জন্য পূজা একটি বিড়াল পোষেন। বিড়ালটিকে দত্তক নেন। সেই বিড়ালটি বৃহস্পতিবার মারা যায়। পূজার মা মৃত বিড়ালকে করব দেওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু পূজা তাতে রাজি হয়নি। বিড়াল আবার বেঁচে উঠবে- এমন আশাতেই টানা ২ দিন মৃত বিড়ালকে জড়িয়ে ধরে কাটিয়েছেন। এক মুহূর্তের জন্য বিড়ালটিকে কাছ ছাড়া করেননি। পূজার মা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বারবার বিড়ালকে করব দেওয়ার কথা বলেও রাজি করাতে পারেননি।

শনিবার বিকেলে, পূজা তাদের বাড়ির তৃতীয় তলায় ঘরে চলে যায়। ভিতর থেকে তালা বন্ধ করে দেন। সেখানেই সিলিং ফ্যাশনে ওড়না গলায় জড়িয়ে আত্মঘাতী হন। রাত ৮টার সময় পূজার মা মেয়ের খোঁজ করতে এসে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়ের নিথর দেহ উদ্ধার করেন। সেই সময়ই মৃত বিড়াল পড়েছিল পূজার কাছে। এই ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলেছেন এমন নজিরবিহীন পশুপ্রেম তাঁরা আগে দেখেননি। যদিও মনরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পূজা মানসিকভাবে দুর্বল ছিলেন। বিড়াল নিয়েই তাঁর সময় কাটত। তাই বিড়াল হারিয়ে তিনি একা হয়ে যাওয়াতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

পুলিশ বাড়িতে পৌঁছেছে, এবং একটি ফরেনসিক দল প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে খুন না আত্মহত্যা - সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।