সংক্ষিপ্ত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিলম্বিত হলেও, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত S-400 বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার শেষ দুটি স্কোয়াড্রন পাবে বলে নিশ্চিত করেছেন IAF প্রধান ACM এপি সিং। 

২০২৫ সালের মধ্যে ভারত S-400 বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার অবশিষ্ট দুটি স্কোয়াড্রন পাবে, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এ কথা জানিয়েছেন ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) প্রধান ACM এপি সিং। ৯২তম বিমান বাহিনী দিবসের প্রাক্কালে বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ACM এপি সিং বলেন: “আমরা আগামী বছর S-400 এর পরবর্তী দুটি স্কোয়াড্রন পাব। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে সরবরাহে বিলম্ব হয়েছে।”

পাঁচটি স্কোয়াড্রনের জন্য ৩৫,০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের চুক্তিটি ২০১৯ সালে মস্কোর সাথে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার প্রাথমিকভাবে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে সরবরাহের কথা ছিল।

২০১৯ সালে নয়াদিল্লি এবং মস্কো S-400 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাঁচটি স্কোয়াড্রনের জন্য ৩৫,০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল, যা ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে পূরণ হওয়ার কথা ছিল।

প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের সূত্রে জানা গেছে, এই ধরনের ব্যবস্থার সরবরাহে বিলম্বের বেশ কয়েকটি কারণ ছিল, যার মধ্যে রয়েছে পেমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যা, সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত এবং পরিবহন। 

এই উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতীয় বিমান বাহিনীর চাহিদা পূরণের জন্য নয়াদিল্লি বেশ কয়েকবার S-400 ব্যবস্থার দ্রুত সরবরাহের বিষয়টি উত্থাপন করেছে।

এখন পর্যন্ত, ভারত তিনটি স্কোয়াড্রন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেয়েছে। এগুলো কর্মক্ষম করা হয়েছে এবং চীন ও পাকিস্তানের সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, শত্রু বিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে যে কোনও আকাশপথে হুমকি মোকাবেলা করার জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনী কৌশলগতভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাগুলিকে স্থাপন করেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।