বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান: দশমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতীশ কুমার। তাঁর মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন, সেই তালিকাও এসে গেছে। এর মধ্যে এমন একজনের নামও আছে যিনি নির্বাচন না লড়েই মন্ত্রী হচ্ছেন।

পাটনার গান্ধী ময়দানে নেতাদের ভিড় জমেছে। কারণ কিছুক্ষণের মধ্যেই বিহার নতুন সরকার পেতে চলেছে। জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। অন্যদিকে, বিজেপির কোটা থেকে সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় কুমার সিনহা উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। সম্ভাব্য মন্ত্রীদের তালিকাও সামনে এসেছে। কিন্তু এর মধ্যে এমন একটি চমকপ্রদ নামও রয়েছে, যিনি নির্বাচন না লড়েই মন্ত্রী হতে চলেছেন।

কে এই দীপক প্রকাশ যিনি মন্ত্রী হচ্ছেন?

আসলে, আমরা কথা বলছি বিহারের নেতা এবং এনডিএ-র সহযোগী উপেন্দ্র কুশওয়াহার ছেলে দীপক প্রকাশের বিষয়ে, যিনি রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার (RLM) কোটা থেকে মন্ত্রী হতে চলেছেন। দীপক বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। জানা যাচ্ছে, সরকার গঠনের আগেই উপেন্দ্র কুশওয়াহা এনডিএ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে রেখেছিলেন যে তাঁর দলকে একটি এমএলসি আসন দেওয়া হোক। সেই কোটার মাধ্যমেই তিনি বিধায়ক হয়ে মন্ত্রী হতে চলেছেন।

নির্বাচনের আগেই এই চুক্তি হয়েছিল

জানিয়ে রাখি, এই সম্পূর্ণ চুক্তিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার মধ্যে নির্বাচনের আগেই হয়ে গিয়েছিল। তখনই এনডিএ-তে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ঐকমত্য হয়। বিজেপি এবং জেডিইউ ১০১-১০১টি আসন পেয়েছিল। চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (আর) ২৭টি আসন পেয়েছিল। অন্যদিকে, জিতন রাম মাঝির দল হাম এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার দল আরএলএম ৬-৬টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু উপেন্দ্র কুশওয়াহা ৬টি আসনে রাজি ছিলেন না, তিনি ১৫টিরও বেশি আসন দাবি করছিলেন। তখনই অমিত শাহ উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে ৬টি আসনের সঙ্গে ১টি এমএলসি পদের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবের পরেই উপেন্দ্র কুশওয়াহা রাজি হন। এখন এই একটি এমএলসি কোটা থেকেই তাঁর ছেলে মন্ত্রী হতে চলেছেন।