সংক্ষিপ্ত
১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কাশ্মীরি হিন্দুদের উপর ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যা নিয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ একটি বিশেষ শুনানির আয়োজন করেছিল ICHRRF। সেই সময় ওই ঘটনার শিকার হওয়ার বহু মানুষ সাক্ষী দিয়েছিলেন।
১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের উপর নৃশংস অত্যাচার চালালনো হয়েছিল। এবার ভারত সরকার ও জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারের দ্বারা সেই ঘটনাকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা (ICHRRF)। এছাড়া কমিশন অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সরকারগুলিকেও এই বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে জম্মু ও কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া নৃশংস অত্যাচারকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ICHRRFএর তরফে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বের এই গল্পগুলি শোনা উচিত। তবে অতীতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নীরবতা এবং রাজনৈতিক সুবিধার বাইরে নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। তারপর তা যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ওই গণহত্যার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের যাতে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকা ভিত্তিক এই সংস্থা।
আরও পড়ুন- বিতর্কে সেই উদুপি, হিজাবের পর এবার মন্দিরের বাইরে স্টল দিতে নিষেধাজ্ঞা মুসলিমদের
১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কাশ্মীরি হিন্দুদের উপর ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যা নিয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ একটি বিশেষ শুনানির আয়োজন করেছিল ICHRRF। সেই সময় ওই ঘটনার শিকার হওয়ার বহু মানুষ সাক্ষী দিয়েছিলেন। এমনকী, একাধিক প্রমাণও জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সব ঘটনার কথা শুনে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যান ICHRRF-এর সদস্যরা।
আরও পড়ুন- বাংলার বিধানসভায় বিধায়কদের হাতাহাতি, বুধবার সকালে বিস্তারিত জানবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
বহু কাশ্মীরি হিন্দু পরিবারকে গণহত্যার শিকার হতে হয়েছিল।হাজার হাজার বাড়িঘর ও মন্দির ধ্বংস হয়েছে। ৪ লক্ষের বেশি কাশ্মীরি হিন্দু পুরুষ, মহিলা এবং শিশুকে বন্দুকের মুখে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নির্বাসনে বাধ্য করা হয়েছিল। তাঁদের বাড়িঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। গণধর্ষণ করা হয়েছিল মহিলাদের। এমনকী, কেটে দু'টুকরো করে দেওয়া হয়েছিল শরীর। সেই সময় ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন বহু হিন্দু পরিবার।
ভবিষ্যতে নৃশংসতা ঠেকাতে কাশ্মীরি হিন্দুদের গণহত্যা ও জাতিগত গণহত্যার তদন্তের জন্য একটি কমিশন নিয়োগেরও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। তাদের দাবি, অপরাধীদের এবং তাদের সমর্থকদের আইনগতভাবে জবাবদিহি করা হোক। পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, "এই ভুক্তভোগীরা এখন ওই ঘটনার জন্য ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা সম্মানের সঙ্গে স্বীকৃতি, ন্যায়বিচার এবং পুনর্বাসনের জন্য আবেদন করেছেন। আর স্বীকৃতি হল ওই নৃশংস হত্যার বিরুদ্ধে নিরাময়ের প্রথম পদক্ষেপ। যা পরিবারগুলিকে সামাজিক, অর্থনৈতিক, চিকিৎসা এবং আধ্যাত্মিকভাবে প্রভাবিত করেছে। এই গণহত্যাকে কখনই আবার ঘটতে দেওয়া একেবারেই ঠিক হবে না। তাই সরকারের কাছে আবেদন বিষয়টিকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।"