সংক্ষিপ্ত
অন্যদিকে কিছুদিন আগেই ফের অশান্ত হয়ে উঠেছিল ভারত চিন সীমান্ত। ফের এলএসিতে ভারত-চিন সংঘর্ষ। ঘটনায় বেশ কিছু ভারতীয় সৈনিক আহত হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খুললেন পেন্টাগন প্রেস সচিব। এলএসি বরাবর ভারত-চিন কার্যকলাপের দিকে ক্রমাগত নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানালেন তিনি। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত বরাবর ঘটা ঘটনাবলির দিকে নজর রেখে তিনি জানালেন,'প্রতিরক্ষা বিভাগ ভারত-চীন সীমান্তে (এলএসি) বরাবর উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে, আমরা দেখেছি গণতান্ত্রীক দেশ চীন (পিআরসি) তথাকথিত এলএসি বরাবর বাহিনী সংগ্রহ এবং সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে।'
অন্যদিকে কিছুদিন আগেই ফের অশান্ত হয়ে উঠেছিল ভারত চিন সীমান্ত। ফের এলএসিতে ভারত-চিন সংঘর্ষ। ঘটনায় বেশ কিছু ভারতীয় সৈনিক আহত হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে ভারতীয় সৈনিককদের। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গোটা ঘটনা সম্পর্কে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতি অনুযায়ী তাঁরা বলেছেন,'অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের এলএসি বরাবর কিছু এলাকা রয়েছে। যেখানে উভয় পক্ষই তাদের দাবির লাইন পর্যন্ত এলাকায় টহল দেয়। ৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে PLA সৈন্যরা তাওয়াং সেক্টরে LAC-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, যা আমাদের নিজস্ব সৈন্যরা দৃঢ় এবং দৃঢ়ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এই মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে উভয় পক্ষের কয়েকজন কর্মী সামান্য আহত হয়েছিল।'
শুধু তাই নয় সেনাবাহিনীর পক্ষে আরও জানানো হয়,'উভয় পক্ষই অবিলম্বে এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শান্তি পুনরুদ্ধার এবং ঘটনার ফলো-আপ হিসেবে কাঠামোগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রতিপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন আমাদের কমান্ডার।' ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে গত মাসে এলএসি বরাবর পরিস্থিতিকে "স্থিতিশীল কিন্তু অপ্রত্যাশিত" বলে অভিহিত করেছিলেন। উভয় দেশের সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে চলমান আলোচনার মধ্যে ভারত-চীন সীমান্ত তুলনামূলকভাবে নীরব ছিল।