ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শেষ হওয়ার আগেই ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করেছেন। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় আমেরিকার অসন্তোষই ট্রাম্পের আকস্মিক ঘোষণার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর আমেরিকা ২৫% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার পদক্ষেপের প্রতিবাদে সংসদে সরব হতে চলেছে বিরোধীরা। এই ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে কংগ্রেস সংসদের উভয় কক্ষে নোটিশ দিয়েছে। মোদীর বৈদেশিক নীতি দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপকে মোদী সরকারের বৈদেশিক নীতির ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। তবে, কংগ্রেসের এই অবস্থানের বিরোধিতা করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা মনীশ তিওয়ারি। আমেরিকার এই পদক্ষেপ ভারতের অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং শুল্ক নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরেই ট্রাম্পের এই ব্যাখ্যা। ১ আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। ভারতের উচ্চ শুল্ক, বাণিজ্য বাধা এবং রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ও তেল বাণিজ্য সহযোগিতাকে শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।
ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শেষ হওয়ার আগেই ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করেছেন। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় আমেরিকার অসন্তোষই ট্রাম্পের আকস্মিক ঘোষণার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্ভব বলে আশা করছে রপ্তানিকারকরা।
ট্রাম্প ১ আগস্টের সময়সীমা আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা চলমান থাকায় উচ্চ শুল্ক আরোপ স্থগিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। ২৫ আগস্টে পরবর্তী আলোচনার জন্য একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল ভারতে আসার কথা ছিল। কিন্তু আলোচনা শেষ হওয়ার আগেই শুল্কের হার ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকান পণ্যের উপর ভারত শুল্ক না কমানোর প্রতিশোধ হিসেবেই এই উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা।
আমেরিকার কৃষিপণ্য এবং দুগ্ধজাত পণ্যের উপর শুল্ক কমানোর দাবি ভারত না মানায় দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়নি বলে জানা গেছে। আমেরিকান দুগ্ধজাত পণ্য ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করলে ভারতীয় স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ভারত। এই ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই ট্রাম্প হঠাৎ করে ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে দেশকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছেন।


