সংক্ষিপ্ত
- সোমবার উত্তরপ্রদেশের ১১টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন
- আটটি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপি শক্তিশালী
- বিরোধীদের সঙ্গে বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা
- অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার মান বাঁচানোর লড়াই
হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিধনসভা উত্তরপ্রদেশের ১১টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা অঞ্চলে ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি ৮টি কেন্দ্রে শক্তিশালী। এখন দেখার বিষয় এই কেন্দ্রগুলোতে বিরোধীরা কেমন ফল করতে পারে। উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচনের আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, অখিলেশ যাদব ও এবং মায়াবতী। আজ উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনে তাঁদের ভাগ্য পরীক্ষা হবে।
রামপুর বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রে আজম খানের দুর্গ। রামপুরে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজপার্টির সমানে সমানে টক্কর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনে সমাজবাদীর পার্টির নেতা তথা সাংসদ আজম খানের স্ত্রী তানজিন ফতিমা প্রার্থী হয়েছেন। এই কেন্দ্র থেকেই একবার লোভসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জয়াপ্রদাকে ব্যাপক ভোটে হারিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন আজম খান। লখনউ ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রে বিজেপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন সুরেশ তিওয়ারি। এখানে বিজেপি প্রার্থী রিতা বহুগনা যোশি বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু এলাহাবাদ কেন্দ্র থেকে সাংসদ হওয়ার পর এখানে উপনির্বাচন হয়েছে। সমাজবাদী পার্টি থেকে এখানে প্রার্থী হয়েছেন আশিষ চতুর্বেদি। অন্যদিকে কংগ্রেস ও বিএসপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন দিলপ্রীত সিং ও অরুণ দ্বিবেদী। লখনউ ক্যান্টনমেন্টে এই নির্বাচনে মুলায়ম সিংয়ের ছোট বউ অপর্ণাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। ২০১২ সালে এই কেন্দ্র থেকে অপর্ণা জয় লাভ করে বিধায়ক হয়েছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রচার চালিয়েছেন। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব শুধু রামপুর কেন্দ্রেই দলের প্রচার করেছেন। উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট অজয় কুমার লাল্লু ১১টি উপনির্বাচনের কেন্দ্রেই নিজের প্রচায় চালিয়েছেন। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা ব্যাপক প্রচার চালানোর পর কংগ্রেস কেবল মাত্র রায়বরেলিতে নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে পেরেছে। যদি উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচনে কংগ্রেস ভালো ফল করতে না পারে, সেক্ষেত্রে ২০২২ সালে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে আরও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে। এই উপনির্বাচনে বিএসপি সব থেকে কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই উপনির্বাচন অখিলেশ যাদবের সম্মান রক্ষার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে।