Dowry Murder Case: সারা বিশ্ব এগিয়ে চলেছে। সবাই আধুনিক হয়ে উঠছেন। কিন্তু এখনও পণের দাবিতে স্ত্রীর উপর অত্যাচার বন্ধ হচ্ছে না। এমনকী, দাবি অনুযায়ী পণ না পেয়ে খুনের ঘটনাও বন্ধ হচ্ছে না। ফের এক ভয়ঙ্কর ঘটনা প্রকাশ্যে এল।
KNOW
Uttar Pradesh Housewife Dowry Murder Case: ‘মায়ের গায়ে কিছু একটা ঢেলে দিল। তারপর মাকে চড় মারল। তারপর লাইটার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিল।’ এ কথা বলার সময় ৬ বছরের ছেলেটার শরীর কেঁপে উঠছিল। চোখের সামনে মায়ের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার ও হত্যার সাক্ষী এই ছেলেটা। সে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। এই শিশু জানিয়েছে, তার বাবা ও ঠাকুমা মায়ের শরীরে কোনও দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে দেয়। তারপর থাপ্পড় মারে। এরপর আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গ্রেটার নয়ডার (Greater Noida) কাসনা থানা এলাকায় (Kasna Police Station)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার একাধিক ভিডিও ভাইরাল। দেখা যাচ্ছে, এক পুরুষ ও মহিলা মিলে এক মহিলার চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর দেখা যাচ্ছে, সারা শরীরে আগুন নিয়ে এক মহিলা সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাচ্ছেন। এই ঘটনারই বর্ণনা দিয়েছে মৃতার ছোট্ট ছেলে।
বিয়ের কয়েক বছর পরেও পণের দাবি!
মৃতার দিদিরও একই পরিবারে বিয়ে হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ‘বিয়ের পর ওরা ৩৫ লক্ষ পণ টাকা দাবি করে। আমরা বিয়ের সময় গাড়ি দিয়েছিলাম। বিয়ের পর আরও একটা গাড়ি দিই। কিন্তু ওদের পণের দাবি মেটেনি। ওরা আমার বোনের উপর অত্যাচার চালাতে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে আমার বোনের উপর অত্যাচার চরমে পৌঁছয়। ওরা আমার বোনের ঘাড় ও মাথায় আঘাত করে। তারপর ওর শরীরে অ্যাসিড ছোড়ে। আমাদের সন্তানরা সেই সময় বাড়িতেই ছিল। আমার পক্ষে বোনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ওরা আমার উপরেও অত্যাচার করে।’
মৃতার স্বামী গ্রেফতার
মৃতার দিদির অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী, দেওর, শাশুড়ি, শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কাসনা থানার পুলিশ। মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার দিদি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


